অন্যদিকে শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী তমাল সিংহ রায় বলেন,’তাঁর মক্কেল পিয়েতা ভট্টাচার্য পেশায় একজন আইনজীবী। তিনি প্রত্যেকদিন লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেন। মহিলা স্পেশাল ট্রেনে মহিলা ছাড়াও বহু পুরুষ যাতায়াত করেন। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মহিলা যাত্রীদের। অনেক সময় মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন পুরুষ যাত্রীরা’। এই অভিযোগ জানিয়ে তিনি একাধিকবার রেলকে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু কোনও সাড়া পাননি।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় সংরক্ষিত টিকিট ছাড়া অবাঞ্ছিত নিত্যযাত্রীদের দাপটে সংরক্ষিত টিকিট নেওয়া যাত্রীদের যাতায়াতের অসুবিধা হয়। এইভাবে যাত্রা করা ১৯৮৯ সালের রেলওয়ে আইনের ১৬২ ধারার পরিপন্থী বলেও উল্লেখ করেছেন মামলাকারী। অন্যদিকে মামলায় ভারতীয় রেলের আইনজীবী দাবি করেন, ‘টিকিট না কেটে যাতায়াত করার জন্য শুধুমাত্র শিয়ালদহ ডিভিশনে ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত ৩৪৭৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে’।
এছাড়াও মাতৃভূমি লোকালে মহিলা নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশ,’এই সব ঘটনা আটকাতে রেলকে আরও সচেষ্ট হতে হবে’। অন্যদিকে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ট্রেন বা লোকাল ট্রেনের কামরার নিরাপত্তাতেও জোর দিচ্ছে রেলওয়ে। রেল পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরাও বসানো হচ্ছে।