• জল থইথই স্কুলে পোকা থেকে সাপের উপদ্রব! পড়ুয়াদের ক্লাসে পাঠাতে নারাজ অভিভাবকরা
    এই সময় | ০৫ জুলাই ২০২৪
  • জলমগ্ন প্রাথমিক স্কুল। ছড়াচ্ছে পোকামাকড়ের 'আতঙ্ক'। পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাতে নারাজ অভিভাবকরা। ঘটনাটি পুরাতন মালদার বালা সাহাপুর নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। গত তিন দিন ধরে বৃষ্টিপাত হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। ব্যতিক্রমী নয় মালদার সাহাপুরও। এরপরেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে স্কুলটি। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে উপস্থিতির হার সামান্য। জানা গিয়েছে, স্কুলটিতে পড়ুয়ার সংখ্যা ২১৬ জন। কিন্তু, জলমগ্ন হওয়ার পর স্কুলটিতে উপস্থিতির হার ২০ থেকে ২৫ জন। কারণ ওই জলে পোকামাকড়ের উপদ্রব হয়।কিছু পড়ুয়া স্কুলে এলেও তাদের অভিভাবকরা ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এই জলের মধ্যেই ক্লাস থেকে শুরু করে মিড ডে মিল যাবতীয় কাজ চলছে। ক্লাস করাতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে শিক্ষকদের। আগেও জল জমে একই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল শিক্ষকদের, অভিযোগ এমনটাই। সেই সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছিল বলেও দাবি করছেন স্কুলের শিক্ষকরা।

    তাঁদের কথায়, 'গত দু 'বছর ধরে তাঁরা রীতিমতো জল যন্ত্রণায় ভুগেছেন। কিন্তু, তার আগে এভাবে জল জমত না। কিন্তু, সম্প্রতি জল বেরোতে না পারার কারণে এই সমস্যা হচ্ছে।' ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। তাঁদের কথায়, 'স্কুলের জমা জলে পোকামাকড় থেকে শুরু করে সাপ পর্যন্ত বার হয়। আমরা কোন ভরসায় ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাব!'

    এই প্রসঙ্গে স্কুলের সহ শিক্ষক অরূপ রতন সরকার বলেন, 'গত দুই বছর ধরে বৃষ্টি হলেই স্কুলে জল জমে যাচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের অনেক সময় জল ঠেলে ক্লাসে যেতে হচ্ছে। যে ক্লাসরুমগুলিতে জল ঢোকেনি সেগুলিতে কোনওমতে আমরা ক্লাস করাচ্ছি। কিন্তু, পড়ুয়ারা ভয়ে ক্লাসে আসছে না। কারণ, জলে অনেক পোকা মাকড় থাকতে পারে। সাপের উপদ্রব বেড়েছে।' একটি কালভার্ট ভরাট করার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ।

    সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মাম্পি সাহা দাস জানান, এই ঘটনাটির বিষয়ে জেনেছি। স্কুল থেকে যাতে দ্রুত জল নেমে যায় সেই বিষয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করা হয়েছে।' নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশার জন্য আগে যারা গ্রাম পঞ্চায়েতের দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের দুষেছেন তিনি। তাঁদের সময়কালে কালভার্ট ভরাট করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।

    এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান বাসন্তী বর্মন জানান, নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশার জন্য স্কুল থেকে জল বার হচ্ছে না। আমরা স্কুলে যাব। একটি কালভার্ট ভরাট কারণে এই সমস্যা বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রধানকে অবগত করা হবে বলে জানান তিনি।
  • Link to this news (এই সময়)