• ডেপুটি আশিস নন, সায়ন্তিকা-রেয়াতকে শপথবাক্য পাঠ করালেন স্পিকার
    এই সময় | ০৫ জুলাই ২০২৪
  • বিধায়ক হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন সায়ন্তিকা বন্দ্য়োপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকার। তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয় বিধানসভায়। কোনও বিরোধীরা এদিনের অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন না।উল্লেখ্য, তাঁদের কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন এবং কোথায় হবে শপথ? তা নিয়ে দীর্ঘ জটিলতা তৈরি হয়েছিল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস চেয়েছিলেন, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান। কিন্তু, স্পিকার থাকাকালীন কেন ডেপুটি স্পিকারকে এই দায়িত্ব দেওয়া হবে? এই নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছিল।

    সায়ন্তিকা এবং রেয়াতের শপথ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছিল। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস তাঁদের রাজভবনে গিয়ে শপথ নেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু, তাতে রাজি ছিলেন না এই বিধায়করা। তাঁরা বিধানসভার সামনে ধরনায় বসেন। এরপর তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেন রাজ্যপাল। কিন্তু, তারপরেই ডেপুটি স্পিকার স্পষ্ট বলেছিলেন, 'আমার পক্ষে এই দায়িত্ব নেওয়া ঠিক নয়। কারণ অধ্যক্ষ নিজে কলকাতায় আছেন। আমি যদি শপথবাক্য পাঠ করায় সেক্ষেত্রে এটা তাঁকে অসম্মান করা হবে। এটা কোনওভাবেই কাম্য নয়।'

    এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়। ডেপুটি স্পিকার স্পষ্ট বলেন, স্পিকারের উপস্থিতিতে এই দায়িত্ব তিনি পালন করতে পারেন না। এরপর স্পিকারই ভগবানগোলা কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবে রেয়াত এবং বরানগর কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে সায়ন্তিকাকে শপথবাক্য পাঠ করান।

    প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই বরানগর এবং ভগবানগোলায় বিধানসভা উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় বিজেপিতে যোগদান করেন লোকসভা নির্বাচনের আগে এবং তিনি উত্তর কলকাতা থেকে প্রার্থীও হয়েছিলেন। পাশাপাশি বরানগরের বিধায়ক পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেন। এরপরেই সেই আসনটিতে হওয়া উপনির্বাচনে জয়ী হন তৃণমূলের সায়ন্তিকা।

    অন্যদিকে, ভগবানগোলার বিধায়ক ইদ্রিশ আলির মৃত্যুর পর সেই আসনটি খালি হয় এবং সেখানে তৃণমূল প্রার্থী করে রেয়াতকে। তিনিও জয়ী হন। কিন্তু, জয়ের পরও তাঁদের শপথ নিয়ে বিস্তর জটিলতা তৈরি হয়েছিল। এদিকে বিধায়ক হিসেবে শপথ না নেওয়ার ফলে এলাকাবাসীর জন্য উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারছেন না তাঁরা, দাবি করেছিলেন রেয়াত এবং সায়ন্তিকা। বিধানসভার সিঁড়িতে ধরনাতেও বসেছিলেন তাঁরা। অবশেষে শুক্রবার তাঁরা বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন।
  • Link to this news (এই সময়)