কুকুরদের উপর 'অত্যাচার'! বিজেপি কর্মীকে কোপানোর অভিযোগ
এই সময় | ০৬ জুলাই ২০২৪
সারমেয়র উপর 'অত্যাচার'-এর প্রতিশোধ! সোনারপুরের চৌহাটিতে এক বিজেপি কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ উঠল এক সারমেয় প্রেমীর বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, ওই নেতাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে বারবার কোপ বসানো হয়। ঘটনায় গুরুতর আহত হন গোবিন্দ অধিকারী নামক ওই ব্যক্তি। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অর্চন ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়িও সোনরপুর এলাকাতেই।শুক্রবার রাতে সোনারপুরের চৌহাটিতে বিজেপি কর্মী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের উপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়। ঘটনায় গুরুতর আহত হন গোবিন্দ অধিকারী। তাঁর স্ত্রী নমিতা অধিকারী ও ছেলে গোবিন্দ অধিকারীর উপরেও হামলা চালানো হয় ধারাল অস্ত্র দিয়ে, অভিযোগ এমনটাই। গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় গোবিন্দবাবুকে প্রথমে এম আর বাঙুর হাসপাতাল ও পরে এসএসকেএম-এর ট্রমা কেয়ারে স্থানান্তরিত করা হয়।
এদিকে অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। সেই সময়ই সারমেয় নিয়ে বিবাদের বিষয়টি জানতে পারেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, কুকুর মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবাদের সূত্রপাত। অর্চন এলাকায় সারমেয়প্রেমী হিসেবেই পরিচিত। গোবিন্দ সারমেয়দের মারধর করত বলে অভিযোগ। আর সারমেয়দের উপর এই ধরনের আচরণের প্রতিশোধ নিতেই অর্চন গোবিন্দর উপর হামলা চালায় বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। এই হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃত ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এই প্রথম নয়, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সারমেয় নিয়ে আগেও বিবাদে জড়িয়েছিলেন গোবিন্দ, সূত্রের খবর এমনটাই। এলাকার বাসিন্দ দেবনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে গোবিন্দবাবু এবং তাঁর প্রতিবেশীদের মধ্যে একটি সারমেয়কে নিয়ে বিবাদ হয়। এই ঘটনার জল গড়িয়েছিল থানা-পুলিশ পর্যন্ত। গোবিন্দ অধিকারী সেই মামলা তুলতেও আগ্রহী হয়েছিল। কিন্তু, গোবিন্দর সঙ্গে কী হয়েছে তা ঠিক আমার জানা নেই। শুনলাম তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁর উপর কোপ বসানো হয়েছে।’
গোবিন্দবাবুর অপর প্রতিবেশী সুশান্ত দেবনাথ বলেন, ‘একটা ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। মানুষের বাড়িতে ঢুকে এভাবে কোপানো হচ্ছে। কয়েকদিন আগে কুকুর নিয়ে একটা বচসার কথা শুনেছিলাম। কিন্ত, তার পরিণতি যে এই রকম হবে! তা বুঝতে পারিনি।’
এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে। ধৃতকে হেফাজতে চাইতে পারে পুলিশ এবং জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।