• প্রেমিকার প্রিয় কুকুরকে মারের বদলা, চেন্নাই থেকে এসে ৩ জনকে কোপাল IIT পড়ুয়া প্রেমিক!
    ২৪ ঘন্টা | ০৬ জুলাই ২০২৪
  • তথাগত চক্রবর্তী: প্রেমিকার প্রিয় কুকুরকে মেরেছিল। তার বদলা নিতে পালটা অভিযুক্ত পরিবারের ৩ জনকে কোপাল প্রেমিক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের চৌহাটিতে। এই ঘটনায় গুরুতর জখম ৩। তার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতের নাম অর্চন ভট্টাচার্য। 

    জানা গিয়েছে, হামলার জেরে গুরুতর আহত হয়েছেন গোবিন্দ অধিকারী। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্ত্রী নমিতা অধিকারী ও ছেলে গৌরব অধিকারীর হামলার জেরে আহত। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের প্রথমে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে তাঁদেরকে এসএসকেএম-এর ট্রমা কেয়ারে স্থানান্তরিত করা হয়। ওদিকে এই হামলার ঘটনায় প্রথমে সুভাষ দেবনাথ ও সুমিত দেবনাথ বলে নামে ২ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। যাঁরা সম্পর্কে বাবা-ছেলে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরেই ফাঁস হয় আসল ঘটনা। সুভাষ দেবনাথের মেয়ের প্রেমিক অর্চন ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে পুলিস।

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অধিকারী পরিবারের হামলার ঘটনায় ধৃত অর্চন ভট্টাচার্য চেন্নাই আইআইটি-র প্রথম বর্ষের ছাত্র। সোনারপুরেরই সুভাসগ্রাম এলাকার বাসিন্দা অর্চন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র বলেই এলাকায় পরিচিত। অর্চনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে সুভাষ দেবনাথের মেয়ে স্মৃতি দেবনাথের। স্মৃতি সোনারপুর মহাবিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। এখন অর্চন ও স্মৃতি দুজনই ডগ লাভার। আর যে কুকুরটিকে মারধর করা নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত, সেটি প্রেমিকা স্মৃতির অত্যন্ত স্নেহের। সেই কুকুরটির সঙ্গে  অধিকারী পরিবারের লোকেদের দুর্ব্যবহার করার বিষয়টি প্রেমিক অর্চনকে জানায় স্মৃতি।

    প্রেমিক অর্চনের কাছে কান্নাকাটিও করে স্মৃতি। বিষয়টি মানতে পারেনি অর্চন। চেন্নাই থেকে সে চলে আসে সোনারপুর। আগে থেকে যাতায়াত থাকার সুবাদে এলাকা সম্পর্কে সব জানত অর্চন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে যে, সে গভীর রাতে এলাকায় আসে। অধিকারীদের বাড়ি নির্মীয়মাণ। ফলে বাড়িতে ঢোকার ক্ষেত্রে তাকে কোনও বাধা বা বেগ পেতে হয়নি। এরপর রাতে ছেলে গৌরব অধিকারী শৌচালয়ে যাওয়ার জন্য বের হলে তার উপর হামলা চালায় অর্চন। এরপর একইভাবে গোবিন্দ অধিকারী ও তাঁর স্ত্রী নমিতা অধিকারীর উপরও হামলা চালায় অর্চন। 

    ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের কোপায়। অন্য ঘরে থাকায় বেঁচে যান মেয়ে গার্গী অধিকারী। বাবা, মা ও ভাইয়ের চিৎকারে সে উঠে পড়ে ও পরিবারের সবাইকে ওই রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার করতে থাকে। তাদের চিৎকারে চলে আসেন প্রতিবেশীরাও। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় সোনারপুর থানায়। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাঁদের এসএসকেম-এর ট্রমা কেয়ারে স্থানান্তরিত করা হয়। জানা গিয়েছে, মাথায় হেলমেট ও হাতে বাইকের গ্লাভস পরে এসে হামলা চালায় অর্চন।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)