বাবুল হক, মালদহ: বর্ষার বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তরবঙ্গ। কমবেশি ভিজছে প্রায় উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলা। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের মতো মালদহেরও বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। মালদহ পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের গান্ধী কলোনির প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। তাঁকে লক্ষ্য করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও দেওয়া হয়। এই ঘটনায় তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
গত পাঁচ দিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টির ফলে জলমগ্ন পুরাতন মালদহ পুরসভার ১৩ এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ড। কার্যত জলের তলায় ওই দুই ওয়ার্ডের একাংশ। যার ফলে সমস্যায় ভুক্তভোগী ওয়ার্ডবাসী। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাঁটু জল পেরিয়ে চলছে যাতায়াত। সমস্যা সমাধানে দুদিন আগে এলাকায় যান পুরাতন মালদহ পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ। তিনি আশ্বাস দেন পাম্পের সাহায্যে জমে থাকা জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।
ওয়ার্ডবাসীর সমস্যার কথা শুনতে শনিবার দুপুরে উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক গোপাল চন্দ্র সাহা এলাকায় যান। তাঁদের ঘিরে ক্ষোভপ্রকাশ করেন স্থানীয়রা। ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও দেওয়া হয়। বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, কয়েকজনকে উসকে তৃণমূল বিক্ষোভের ঘটনা ঘটাচ্ছে। সাংসদ খগেন মুর্মু জানান, “এই বিক্ষোভ মানুষের বিক্ষোভ নয়। কিছু সংখ্যক মানুষকে তৃণমূলরা উসকে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে খবর পেয়ে আমরা এসেছি। কিন্তু পরিষেবায় পুরাতন মালদহ পুরসভা ব্যর্থ। কারণ, জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম নিকাশী সমস্যা নিয়ে প্রশাসনের কাছে কোনও খবর নেই। অতএব তার জন্য দায়ী পুরোপুরি পুরসভা।”
পালটা অভিযোগ মানতে নারাজ পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ জানান, “সাংসদ ও বিধায়কের বিক্ষোভের মুখে পড়ার ঘটনা স্বাভাবিক। কারণ, তারা এলাকায় জনসাধারণের সঙ্গে জনসংযোগ রাখেন না। পাশাপাশি উন্নয়নও করতে পারেননি। ফলে লোক দেখানো পরিদর্শনে বিক্ষোভের মুখে পড়তেই হবে।”