চোপড়াকাণ্ডে অভিযুক্ত জেসিবির থেকে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র
এই সময় | ০৭ জুলাই ২০২৪
চোপড়ার ভিডিয়োকাণ্ডে অভিযুক্ত তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবিকে জেরা করে তার থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র কী ভাবে এল? তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ভিন রাজ্যের কারও সঙ্গে জেসিবির কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাকে আরও পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ইসলামপুর মহকুমা আদালত।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, এক যুগলকে রাস্তায় ফেলে হাতে কঞ্চি নিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছে এক যুবক (এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল)। ভিডিয়োটি নিয়ে নেটপাড়ায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। জানা যায়, ভিডিয়োটি চোপড়ার। কঞ্চি হাতে ব্যক্তিটি তাজিমুল, যে এলাকায় জেসিবি হিসেবে পরিচিত। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত থাকার কারণে একটি সালিশি সভা ডাকা হয়। সেখানেই জেসিবি ওই যুবক-যুবতীকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে একটি মামলা রুজু করে এবং জেসিবিকে গ্রেফতার করে। প্রথমে আদালত তাকে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। এদিন তাঁর আরও পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
এই প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় ভাওয়াল বলেন, ‘এদিন পুলিশের তরফে তাজিমুলকে নয় দিন হেফাজতে চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু, আদালত তার পাঁচ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছে। পুলিশি হেফাজতে তাকে জেরা করে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়েছিল।'
তিনি আরও বলেন, 'তাজিমুলকে জেরা করে আরও অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায় কিনা সেই দিকে নজর দিচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি ওকে অস্ত্র সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তের জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।' তাজিমুলের কাছে কোথা থেকে ওই অস্ত্র এল? সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, সালিশি সভায় তাজিমুলের হাত থেকে মার খেলেও তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই বলে দাবি করেছেন ‘নির্যাতিত’ যুবক এবং ‘নির্যাতিতা’ যুবতী। ওই যুবকের কথায়, ‘আমি ওই মহিলাকে বাড়িতে এনে ভুল করেছিলাম। সালিশি সভায় যা সিদ্ধান্ত হয়েছিল আমরা তা মেনে নিয়েছি। এবার আমরা শান্তিতে থাকতে চাই।’ অন্যদিকে, ওই যুবতীর কথায়, ‘যে ভিডিয়োটি ভাইরাল করেছে আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। কারও কাছে মুখ দেখাতে পারছি না।’