• কোমরে গোঁজা নাইন এমএম পিস্তল, আদালত চত্বরে ঢুকে পড়ল যুবক, কাবু করতে ঘাম ছুটল পুলিসের
    ২৪ ঘন্টা | ০৭ জুলাই ২০২৪
  • অরূপ লাহা: অস্ত্র নিয়ে আদালত চত্বরে ঢুকে পড়ল যুবক। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় তাকে হফাজতে নিল পুলিস। তার কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। কেন সে আদালত চত্বরে বন্দুক নিয়ে ঢুকেছিল তা জানতে ওই যুবককে আদালতে তুলে তাকে ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিস।

    ধৃতের নাম শেখ রাজ্জাক। কলকাতার ট্যাংরা থানার ডি সি দে লেনে তার বাড়ি। পুলিস ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেল চারটে নাগাদ টাউন স্কুলের দিকে রাস্তায় একটি পান-বিড়ির দোকান থেকে সিগারেট কেনে রজ্জাক। দাম মেটানোর সময় তার পকেটে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বলে দেখতে পান আদালতের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক পুলিস কর্মী। তিনি বিষয়টি এক পুলিস অফিসারকে জানান। এরপরই বর্ধমান থানার সাদা পোশাকের পুলিস সেখানে পৌঁছে তাকে ধরে ফেলে। রজ্জাকের সঙ্গে পুলিস কর্মীদের বেশ কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি হয়। তাকে কব্জা করতে কালঘাম ছুটে যায় পুলিসের।

    ঘটনার বিষয়ে অস্ত্র আইনের ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে বর্ধমান থানা। গ্রেপ্তারের পর রাতে ও শনিবার সকালে তাকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আদালত চত্বরে ঘোরাঘুরির উদ্দেশ্য জানার চেষ্টা করে পুলিস। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জেনেছে, সে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। ইতিমধ্যেই তার ১০ বছর জেল খাটা হয়েছে। বর্তমানে সে জামিনে মুক্ত রয়েছে। জেলখানায় থাকার সময় বর্ধমান থানার একটি লুটপাটের মামলায় ধৃত অজয় দাস ও ফিরোজ খান নামে দুই দুষ্কৃতীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। বর্ধমানের দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে একটি ডাকাতির মামলায় বিচার চলছে অজয়-সহ কয়েকজনের। ঘটনার দিন সেই মামলায় সওয়াল-জবাব হয়। অজয় ও ফিরোজের সঙ্গে দেখা করতে রজ্জাক আদালতে এসেছিল। অজয়কে মুক্ত করার কোনও পরিকল্পনা রজ্জাকের ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস। এদিন আদালত চত্বর থেকে একটি নম্বর প্লেট ছাড়া দাবিদারহীন বাইক উদ্ধার হয়। সেটি রজ্জাকের কিনা তাও তদন্ত করে দেখছে পুলিস।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)