অভিরূপ দাস: শহরে লাগাতার শুটআউটের ঘটনায় উদ্বিগ্ন খোদ মেয়র। কোথা থেকে অস্ত্র আসছে? পুলিশ কেন নজরে রাখছে না? শনিবার রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে কড়া ভাষায় এসব প্রশ্ন করার পাশাপাশি মেয়র ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য, ”আমিও তো পরিবার নিয়ে থাকি। ভয় হয়, যদি কাল আমাদের উপর একটা বিপদ আসে!”
গত কয়েকদিনে কলকাতায় একাধিক শুটআউটের (Kolkata Shootout) ঘটনা ঘটেছে। টালিগঞ্জ থানা এলাকার লেক অ্যাভিনিউ রোডের একটি বাড়িতে লুটপাটের চেষ্টা এবং গুলি চালানোর ঘটনা তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। তা নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ফিরহাদ হাকিম এদিন পুলিশের সামনে জানিয়েছেন, ”আমি দাঁড়িয়েছিলাম মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে। উনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। খুব কড়া ভাষায় পুলিশ কমিশনার এবং রাজ্য পুলিশকে বলেছেন, ‘এই সমস্ত অস্ত্র কোত্থেকে আসছে। আমি কি নিজে গিয়ে অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করব? তোমাদের নেটওয়ার্ক কেন নেই? সীমান্ত পেরিয়ে কিভাবে এই অস্ত্র বাংলায় ঢুকছে?’’ ফিরহাদের (Firhad Hakim) কথায়, ”অদ্ভুত একটা জিনিস দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা অথবা গুলিচালনার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সকলেই অন্য রাজ্যের। লক্ষ্য করে দেখা যাচ্ছে, একটাও বাংলার ছেলে ডাকাতি করছে না, গুলি চালাচ্ছে না। যারা গুলি চালাচ্ছে, ডাকাতি করছে, হয় তারা বিহার নয়তো ঝাড়খণ্ডের। সেই রাজ্যের মানুষরা যখন বাংলায় ঢুকছে কেন পুলিশ তাদের ঠিকমতো চেক করছে না?”
এর পরই তাঁর উদ্বেগপূর্ণ মন্তব্য, ”আমিও তো পরিবার নিয়ে থাকি। ভয় হয়, যদি কাল আমাদের উপর একটা বিপদ আসে!” তবে মেয়র এও স্বীকার করেছেন, আগের থেকে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য কমেছে। এটাকে একদম ‘জিরো’তে নিয়ে যেতে হবে বলে পুলিশকে কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি রানিগঞ্জের গুলি কাণ্ডে জড়িত ভিনরাজ্যের দুষ্কৃতী সুবোধ সিং ধরা পড়েছে সিআইডির জালে। ফিরহাদ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ”এরা কারা? কারা এদের ইনফর্মার? আশা করছি সিআইডি বার করবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোজা বার্তা আইন সকলের জন্য সমান। যদি কেউ অনৈতিক কাজ করে, জমি দখল করে সে যে দলেরই হোক তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।”