মেট্রো বা বাইক নয়, হেঁটে একুশের মিছিলে যোগ দিন! দলীয় নেতাদের নির্দেশ তৃণমূলের
প্রতিদিন | ০৭ জুলাই ২০২৪
স্টাফ রিপোর্টার: পায়ে পায়ে মিছিল করে সবাইকে নিয়ে ধর্মতলা পৌঁছতে হবে। শর্টকাটে মেট্রো করে বা বাইক চড়ে স্টেজে বসার চেষ্টা একদম করা যাবে না। ২১ জুলাই শহিদ তর্পণে ত্যাগের পথেই হাঁটতে হবে, আনন্দ-বিলাস বরদাস্ত নয়। শুক্রবার ‘ধর্মতলা চলো’র প্রস্তুতি সভায় নিচুতলার নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এমনই কড়া বার্তা দিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তাঁর কথায়, “৩০ বছর হয়ে গেল ধর্মতলার কর্মসূচি। আমি, অরূপ ২৪-২৫ বছর ডোরিনা ক্রসিংয়ে ডিউটি করেছি। বছর ছয়েক হল মঞ্চে ডাক পড়ছে। এখন অনেককে দেখি, মিছিলে লোক না নিয়ে মেট্রো বা বাইকে চেপে সাতসকালে মঞ্চের মুখে গিয়ে ঘোরাঘুরি করেন। তাঁদের বলছি, শর্টকাট করলে রাজনৈতিক জীবনটাই শর্টকাট হয়ে যাবে। রাস্তায় নেমে কাজ করলে রাজনৈতিক জীবনটাও দীর্ঘ হবে।”
২১ জুলাইয়ের (21 July Shahid Diwas) প্রস্তুতি সভায় শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মিসভায় তেরাপন্থ ভবনে ফিরহাদের পাশাপাশি ‘ফাঁকিবাজ’ ও ‘সুযোগসন্ধানী’ দলের উঠতি নেতাদের সমালোচনা করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির (Subrata Bakshi) উপস্থিতিতেই অরূপ বলেন, “২১ জুলাই সকাল থেকেই ইস্ত্রি করা পাজামা-পাঞ্জাবি করে কয়েকজন উঠতি নেতা মঞ্চের প্রবেশপথে গিয়ে ঘোরাঘুরি করেন। রীতিমতো লড়াই চালান, সুযোগ খোঁজেন কীভাবে মঞ্চে ওঠা যাবে। তাঁদের বলছি, সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠুন, অনেক দূর যেতে পারবেন। লিফটে করে উপরে উঠলে লিফট খারাপ হলে আর নামতে পারবেন না। রাস্তায় নেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বার্তা নিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরুন, মানুষই আপনাকে নেতা বানিয়ে দেবে।”
জনসভায় ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাইয়ের মহাকরণ অভিযানের প্রেক্ষাপট এবং সেদিনের বাম সরকারের পুলিশের বর্বরোচিত হামলার কথা তুলে ধরেন সুব্রত বক্সি। এদিন তৃণমূল (TMC) ভবনেও দলের রাজ্য কমিটির নেতৃত্ব বসে ২১ জুলাই সমাবেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। দক্ষিণ কলকাতা (South Kolkata) থেকে লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থক নিয়ে মিছিল করে ধর্মতলা যাওয়ার ঘোষণা করে জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস কুমার বলেন, “সকাল ১০টার মধ্যে সবাইকে হাজরা পৌঁছতে হবে। তার পর সবাই মিছিল করে ধর্মতলা যাব।”
সভায় উপস্থিত সাংসদ মালা রায় নির্বাচনে তাঁকে পুনরায় বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য সকলে ধন্যবাদ জানান। সভায় ছিলেন মন্ত্রী জাভেদ খান, বাবুল সুপ্রিয়, বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার, রত্না চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন মন্ত্রী মনীশ গুপ্ত, মেয়র পারিষদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, অসীম বসু, খালেক মোল্লা, মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় ও জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ছাত্র-যুব ও মহিলা নেতৃত্ব।