প্রবল বৃষ্টি। তার মধ্য়েই রেললাইনে ধস। মালদা জেলার গৌড় মালদা ও জামিরঘাটা স্টেশনের মাঝেই ধস নামে। তার জেরে মালদায় দাঁড়িয়ে পড়ল বন্দে ভারত। এদিকে ধসের জন্য কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি রেল। সেকারণেই দ্রুত ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হয়। রেলের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন। এরপরই সেই ধস মেরামতির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপর ট্রেন চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।
এদিকে কেবলমাত্র বন্দে ভারত এক্সপ্রেসই নয়। দাঁড়িয়ে পড়েছিল মালদা নগরদ্বীপ এক্সপ্রেস। রেলের আধিকারিকদের দ্রুত বিষয়টি জানানো হয়। তারপরই তাঁরা স্পটে চলে আসেন। দ্রুত সেখানে ধস মেরামতির ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মূলত প্রবল বৃষ্টির জেরেই ধস নেমেছিল রেললাইনের ধারে। সেকারণেই দ্রুত ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় আধ ঘণ্টা বন্দে ভারত আটকে ছিল। তবে সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই বন্দে ভারতকে কিছুক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
সূত্রের খবর, রেলের গ্যাংম্যানদের চোখে প্রথমে এই ধসের বিষয়টি পড়ে। এরপরই তারা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানান। এদিকে সেই লাইনেই আসার কথা বন্দে ভারতের। সেকারণে আর ঝুঁকি নেয়নি রেল কর্তৃপক্ষকে। এরপরই পর পর দুটি ট্রেনকে আটকে দেওয়া হয়।
তবে এদিন প্রবল বৃ্ষ্টিতে শুধু রেললাইনের ধারের ধসই নয়, মালদায় একাধিক জায়গায় জল জমে যায়। মালদায় হাসপাতাল চত্বরেও জল জমে যায়। তবে কর্তৃপক্ষ এনিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।
এদিকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেই বৃষ্টির জেরে জল জমে যায়। পাহাড়ে একের পর এক ধস। বিশেষত কালিম্পংয়ের রাস্তায় ভয়াবহ ধস। দুকূল ছাপিয়ে বইছে তিস্তা। দার্জিলিংয়ের রাস্তাতেও ধস নামছে। একবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি।
এদিকে অসমের প্রবল বর্ষণে একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি। ধসও নামছে সেখানে। শুক্রবার ভোরে অসমের গুয়াহাটিতে ভয়াবহ ভূমিধসে ৩৫ বছরের এক মহিলা ও তাঁর ১৪ বছরের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ধসে তাদের বাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার জেরেই মৃত্যু হয় তাদের।
মৃতের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, সকাল ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছিল গুয়াহাটির জোড়াবাত এলাকায়। 'তারা যখন বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন তখন প্রচুর পরিমাণে কাদা নিচে নেমে আসে এবং আমাদের বাড়িটি ধসে পড়ে,' তারা জানিয়েছিলেন।
মৃতদের নাম রুমি দাস ও তাঁর ছেলে চম্পক দাস। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, রুমি ও তার দুই সন্তান চম্পক ও রিমা দাস ধসে পড়া বাড়ির নিচে চাপা পড়েন এবং উদ্ধার করতে আসা স্থানীয়রা কেবল মেয়েকে টেনে বের করতে সক্ষম হন।