• দালালি করছেন বাগদা থানার ওসি, শুভেন্দুর কনভয় পার হতেই পুলিসকে তোপ ফিরহাদের
    ২৪ ঘন্টা | ০৭ জুলাই ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাগদা বিধানসভার উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে পুলিসকে নিশানা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। নাটাবেড়িয়ায় এদিন ছিল তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুরের সমর্থনে প্রচার। সেখানে এক জনসভায় বক্তব্য রাখার সময়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় পার হয়ে যায়। সেইসময় জনসভার মাঝেই তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা জয় বাংলা-সহ চোর চোর স্লোগান দিতে থাকেন। সেই সময় মঞ্চে ভাষণ দিচ্ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যাতে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য বাগদা থানার পুলিস আধিকারিকেরা ব্যারিকেট করে পার করে দেন বিরোধী দলনেতার কনভয়। এরপরই রীতিমতো সভা মঞ্চ থেকেই ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যায় রাজ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতাকে।

    বাগদা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি গণেশ বাইনের নাম না করে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, দালালি করছেন! বিরোধী দলনেতা তো চলে গিয়েছে। আর কী! আমরা মিটিং করব না নাকি? এমনকি পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলা হয় মিটিং নষ্ট করে দিচ্ছেন তারা। এই সময়ে জয় বাংলা স্লোগানের পাশাপাশি তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিরোধী দলনেতাকে উদ্দেশ্য করে চোর চোর স্লোগানও দিতে থাকে।পরিস্থিতিতে কিছু সময়ের জন্য চাঞ্চল্য তৈরি হয় ওই এলাকায়। পরে অবশ্য মিটিং সুষ্ঠুভাবেই শেষ হয়। পুলিসের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য মঞ্চে এমন উক্তি করার সমালোচনা করছেন বিরোধীরা সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি।

    ফিরহাদ হাকিমের ওই মন্তব্য নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উনি এই মন্তব্য করেছেন তাতে আমার মনে হয় আজ রাতে অবশ্যই তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে ফোন করবেন।  কারণ এটাই তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেস কার্যত পশ্চিমবঙ্গে একটা ভাষা সন্ত্রাস তৈরি করছে। একটা ঘৃণার রাজনীতির জন্ম দিয়েছে। সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করছে। গোটা সমাজকে একটা খোলা বাজার বানিয়ে দিয়েছে। প্রশাসন ও শাসক দলের মধ্যে কোনও বিভাজন রেখা অবশিষ্ট রাখেনি। ঘোষিত জরুরি অবস্থা করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ভেঙ্গে দিয়েছে। সাংবিধানিক পরিকাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই এরকম বক্তব্য রাখছেন। তবে অনেকেই এরকম বক্তব্য রাখন আর গভীর রাতে ফোন করে বলেন, সঙ্গে আছি কোনও অসুবিধে নেই।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)