রথযাত্রার জন্য রাজ্যজুড়ে সাজ সাজ রব। উৎসবের আনন্দে মেতে সাধারণ মানুষ। কিন্তু, এই আনন্দে কি ব্যাঘাত ঘটাবে বৃষ্টিপাত? আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গে এদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। সামান্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কলকাতায়। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত।কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?
সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ মেঘলা। দিনভর শহরে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। রবিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৯ ডিগ্রি বেশি এবং রবিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৯ ডিগ্রি সেলিসায়স বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯১ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬৫ শতাংশ।
রথযাত্রার দিন কি দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি?
দক্ষিণবঙ্গের আকাশ দিনভর মেঘলা থাকতে পারে। কিছু জেলায় সামান্য সময় আংশিক মেঘলা আকাশ থাকার সম্ভাবনা। আপাতত রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে বিস্তৃত।
রবিবার রথের দিন দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। পূর্ব মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদ জেলায় অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। সোমবার থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা কমবে। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এই বছর উত্তরবঙ্গে সময়ের আগে প্রবেশ করেছে বর্ষা। কিন্তু, দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে বিস্তর বিলম্ব হয়েছে। রাজ্যে সার্বিকভাবে এখনও বৃষ্টিপাতের ঘাটতি নেই। কিন্তু, দক্ষিণবঙ্গে যে বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা এখনও পর্যন্ত সেই নিরিখে বিচার করলে রয়েছে ঘাটতি। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গে স্বাভাবিকের থেকে ৪৯ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। অন্যদিকে, দেখা যাচ্ছে উত্তরবঙ্গে স্বাভাবিকের থেকে ৭১ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া?
রবিবারও উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। রবিবার রথের দিন ও সোমবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এই বর্ষায় আলিপুরদুয়ারে স্বাভাবিকের থেকে ৯৫ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কোচবিহারে ১৩৩ শতাংশ, দার্জিলিঙে ৪৭ শতাংশ, জলপাইগুড়িতে ৪৭ শতাংশ, কালিম্পঙে ৪২ শতাংশ, মালদাতে ১৯ শতাংশ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে ৩৪ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, উত্তর দিনাজপুরে স্বাভাবিকের থেকে ২৯ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।