• বৈপরীত্যে আতঙ্ক! দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির বিপুল ঘাটতি, উত্তরবঙ্গে বর্ষা স্বাভাবিকের চেয়ে ঢের প্রবল...
    ২৪ ঘন্টা | ০৭ জুলাই ২০২৪
  • অয়ন ঘোষাল: উত্তরে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত। দক্ষিণে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা মাঝারি বৃষ্টি। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত না হলেও বর্ষার বৃষ্টিপাত হবে। সেই হিসেবে সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতায়। 

    সিস্টেম

    রাজস্থান থেকে শুরু হয়ে মৌসুমি অক্ষরেখা আসানসোল ও হুগলি হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ওড়িশা উপকূলে। এর ফলে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত না হলেও বর্ষার বৃষ্টিপাত হবে। 

    উত্তরবঙ্গ

    উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। আজ, রবিবার রথের দিন ও আগামীকাল সোমবার দার্জিলিং কালিম্পং আলিপুরদুয়ার কোচবিহার জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।

    মঙ্গলবার উপরের পাঁচ জেলার সঙ্গে উত্তর দিনাজপুরেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। সোমবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে দার্জিলিং কালিম্পং আলিপুরদুয়ার কোচবিহার জলপাইগুড়ি জেলায়।

    দক্ষিণবঙ্গ

    দক্ষিণবঙ্গে দিনভর মেঘলা আকাশ। কোথাও সামান্য সময়ের জন্য আংশিক মেঘলা আকাশ। আপাতত এই আবহাওয়াই থাকবে। আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সক্রিয় মৌসুমি অক্ষরেখা দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে বিস্তৃত। এর প্রভাবেই বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বর্ষার অনুকূল আবহাওয়া।

    আজ রবিবার রথের দিন দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ওয়াইড স্প্রেইড রেইন অর্থাৎ বেশিরভাগ জেলার বেশিরভাগ অংশেই বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। পূর্ব মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি।

     সোমবার থেকে ফেয়ারলি ওয়াইড স্প্রেইড রেইন হবে। বৃষ্টির পরিমাণ ও সম্ভাবনা কিছুটা কমবে। বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে।

    বৃষ্টির ঘাটতি (৬/৭/২০২৪ পর্যন্ত)

    সার্বিক ভাবে বৃষ্টির ঘাটতি নেই রাজ্যে। কিন্তু আলাদা করে দেখলে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে দক্ষিণে। স্বাভাবিক বৃষ্টির পরিমাণ ৩৭৯.৪ মিলিমিটার। হয়েছে ৩৭৯.৫ মিলিমিটার। দক্ষিণবঙ্গে ৪৯ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে ৭১ শতাংশ বেশি।

    দক্ষিণবঙ্গের ঘাটতি

    বাঁকুড়ায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের তুলনায় ৪২ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত। বীরভূমে ৪৪ শতাংশ কম। পূর্ব মেদিনীপুরে ৫৭ শতাংশ কম। হুগলিতে ৫৪ শতাংশ, হাওড়ায় ৫৫ শতাংশ, ঝাড়গ্রামে ৪৬ শতাংশ, কলকাতায় ৪৫ শতাংশ, মুর্শিদাবাদে ৪৬ শতাংশ, নদীয়ায় ৫৬ শতাংশ, উত্তর ২৪ পরগনায় ৫৯ শতাংশ, পশ্চিম বর্ধমানে ৩১ শতাংশ, পূর্ব বর্ধমানে ৩৯ শতাংশ, পুরুলিয়ায় ৪৮ শতাংশ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫৭ শতাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুর ৪৭ শতাংশ। 

    উত্তরবঙ্গে অতি বৃষ্টি

    আলিপুরদুয়ারের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের তুলনায় ৯৫ শতাংশ বেশি, কোচবিহারে ১৩৩ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ৪৭ শতাংশ, জলপাইগুড়িতে ৪৭ শতাংশ, কালিম্পংয়ে ৪২ শতাংশ, মালদায় ১৯ শতাংশ, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৩৪ শতাংশ। আবার উল্টো দিকে, উত্তর দিনাজপুরে স্বাভাবিকের তুলনায় ২৯ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে।

    কলকাতা

    শহরে মূলত মেঘলা আকাশ। দিনের যে কোনও সময়ে দু-এক পশলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। 

    পরিসংখ্যান

    রাতের তাপমাত্রা ২৭.৭ ডিগ্রি। গতকাল, শনিবার দিনের তাপমাত্রা ৩২.১ থেকে বেড়ে ৩৩.৪ ডিগ্রি হয়েছিল। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৬৫ থেকে ৯১ শতাংশ। আলিপুরে কাল সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। কলকাতার কিছু কিছু এলাকায় শনিবার ৫ থেকে ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)