আধার কার্ডের সঙ্গে নাগরিকত্বের সম্পর্ক নেই, হাই কোর্টে দাবি ইউআইডিএআই আইনজীবীর
প্রতিদিন | ০৭ জুলাই ২০২৪
স্টাফ রিপোর্টার: দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বাতিল করা হচ্ছে কিছু আধার কার্ড। পাশাপাশি, যে সব বিদেশি নাগরিক এ দেশে থাকার জন্য পর্যাপ্ত তথ্য দিচ্ছেন না, এবং নথি ছাড়া বেআইনিভাবে থেকে যাওয়া বিদেশি নাগরিকদের জন্যও একই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলেই আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় বা বাতিল মামলায় আগেই হাই কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল কেন্দ্র। এবার আধার কার্ড (Aadhaar Card) নিয়ে হাই কোর্টে অবস্থান স্পষ্ট করল ইউআইডিএআই কর্তৃপক্ষ।
এই সংক্রান্ত মামলায় আধার প্রদানকারী সংস্থার তরফে আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত জানিয়েছেন, যাঁরা ভারতে ১৮২ দিন বসবাস করেছে তাঁদের জন্য আধার কার্ড। এছাড়া সরকারি প্রকল্পের ভর্তুকি দিতেই এই আধার কার্ড। আইনজীবী আরও বলেছেন, আধার কার্ড দেওয়ার সঙ্গে নাগরিকত্বের কোনও সম্পর্ক নেই। স্পষ্ট করে তিনি বলেছেন, অনাবাসী, যাঁরা আইন মেনে দেশে প্রবেশ করেছেন, তাঁরা আবেদন করলে আধার কার্ড দেওয়া যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, বহু মানুষের আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে। এই অভিযোগে সম্প্রতি মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে মামলাকারী সংগঠন জয়েন্ট ফোরাম এগেইনস্ট এনআরসির দাবি, পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর আধার কার্ড অচল করে দেওয়া হচ্ছে। এর কোনও সঠিক কারণ পাওয়া যাচ্ছে না। যা নিয়ে এই জনস্বার্থ মামলা। প্রায় হাজারের উপর আধার কার্ড ইতিমধ্যেই নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
মামলাকারীর আইনজীবী ঝুমা সেন বলেন, এনিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বক্তব্যে বিভ্রান্তি ও দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে প্রধানমন্ত্রীর অফিসেও একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রাজ্যের এক সাংসদও বিষয়টি কেন্দ্রের কাছে তুলেছেন। ইউআইডিএআই প্রাথমিকভাবে বলেছিল এটা প্রযুক্তিগত ত্রুটি। আদালতে আবেদনকারীরা আধারের বিধির ২৮এ এবং ২৯-এর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। যা আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করতে এবং কে বিদেশি তা নির্ধারণ করতে আইনের অধীন কর্তৃপক্ষকে প্রভূত ক্ষমতা দিয়েছে। তার প্রেক্ষিতে আদালতে ইউআইডিএআই-এর আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত জানান, আধার কার্ডের সঙ্গে নাগরিকত্বের কোনও সম্পর্ক নেই। সরকারি ভর্তুকি পেতে এবং যঁারা দেশের নাগরিক নন, তঁাদের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আধার দেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি, মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত।