দিঘার পুরনো মন্দিরেই পুজোর আয়োজন, নির্মীয়মান জগন্নাথ মন্দির দেখতেও ভিড়
এই সময় | ০৭ জুলাই ২০২৪
দিঘায় পুরনো জগন্নাথ মন্দিরে এবার রীতি মেনেই পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। রথযাত্রা নতুন জগন্নাথ মন্দিরের শুভ উদ্বোধন না হলেও পুরনো জগন্নাথ মন্দিরে দীর্ঘদিন ধরে রীতি নিয়ম মেনে জগন্নাথ দেবের পুজো হয়ে আসছে। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। নয়দিন ব্যাপী জগন্নাথ দেবের পুজোর অনুষ্ঠান রীতি মেনেই পালন করা হবে। অন্যদিকে, নতুন মন্দির দেখতে ইতিমধ্যেই পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে দিঘায়।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী বছর থেকেই দিঘায় নতুন জগন্নাথ মন্দিরের রথযাত্রা মহা সমারোহে আয়োজন করা হবে। নতুন জগন্নাথ মন্দির এবার উদ্বোধন না হলেও উন্মাদনায় এক ফোঁটাও ভাটা নেই। নতুন মন্দির দেখতেই এদিন পর্যটকদের ভিড় রয়েছে।
এদিকে, দিঘায় পুরনো জগন্নাথ মন্দির অর্থাৎ নতুন মন্দিরের মাসির বাড়িতে রীতি মেনে পুজো হচ্ছে এবার। দিঘা পূর্ণ জগন্নাথ মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বসন্ত কুমার জানা জানিয়েছেন, রথের দিন থেকেই এই মন্দিরে নাম সংকীর্তনের আয়োজন করা হয়েছে। প্রভু জগন্নাথ দেবের পুজো পাঠ, প্রসাদ বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে।
তবে, এবারেই নির্ধারিত হয়েছিল নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরের রথযাত্রার আয়োজন করা হলে পূর্ণ জগন্নাথ মন্দিরকেই মাসির বাড়ি বানানো হবে। পুরনো জগন্নাথ মন্দির মাসির বাড়ি হলে পর্যটক মানচিত্রে দিঘা এক অন্য রূপ ধারণ করবে বলেই মনে করছেন অনেকে। এবার সেই প্রস্তুতি কিছুটা সেরেও রাখা হয়েছিল। তবে, শেষ মুহূর্তে নতুন মন্দিরের রথযাত্রা বাতিল করা হলেও পুরনো মন্দিরে মহা সমারোহে জগন্নাথ দেবের পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, দিঘায় জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কাজ এখনও সম্পূর্ণ রূপে শেষ হয়নি। তবে, রাজস্থানের বংশী পাহাড়পুর থেকে জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রার মূর্তি নিয়ে আসা হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেগুলির মোড়ক এখনও খোলা হয়নি। মন্দিরের অন্দরসজ্জার কাজ শেষ হওয়ার পরেই মূর্তিগুলি উন্মোচন করা হবে বলেই জানতে পারা গিয়েছে।
পাশাপাশি, রথ নির্মাণের কাজও এবার অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। একটি গাঢ় সবুজ, একটিতে কমলা আর অন্যটিতে হলুদ রঙের প্রলেপ দিয়ে তিনটি রথ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি রথের উচ্চতা প্রায় ১৫ ফুট। তবে বেশ কিছু কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় এবার নতুন মন্দিরের রথযাত্রা অনুষ্ঠান না করে আগামী বছরেই এই উৎসব পালনের কথা জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দিঘায় রথযাত্রা পূর্ণ শ্রদ্ধা ও গাম্ভীর্যের সঙ্গে পালন করা হবে। এই উৎসবে সকলেই আমন্ত্রিত হবেন। ভারতের আরও একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ স্থান দিঘা প্রভুর আবাসস্থল হিসেবে আবির্ভূত হবে।’