• আদিগঙ্গা সংস্কার নিয়ে জমা পড়েনি রাজ্যের রিপোর্ট, চার সপ্তাহ সময় চান মুখ্যসচিব
    এই সময় | ০৭ জুলাই ২০২৪
  • এই সময়: আদিগঙ্গাকে দূষণমূক্ত করে সংস্কারের মামলায় হাজিরা দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকার আইনজীবী।

    আদিগঙ্গা নিয়ে এনজিটি একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছিল। তার মধ্যে কতগুলো মানা হয়েছে, কতগুলো মানা হয়নি, মানা না-হলে তার পিছনে কী কারণ, সে সবই রাজ্য সরকারের তরফে জমা পড়ার কথা এনজিটি-তে।তার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিল পরিবেশ আদালত। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরোলেও সে সব কিছুই আদালতে জমা পড়েনি। সে জন্যই মুখ্যসচিবকে এনজিটি তলব করে এনজিটি। এই মামলায় রাজ্যের বক্তব্য জানানোর জন্য চার সপ্তাহের সময় চেয়ে নেন মুখ্যসচিবের আইনজীবী। এনজিটি তা মঞ্জুর করেছে।

    আদিগঙ্গার সংস্কার প্রকল্পে রাজ্যকে দু’পাড়ের দখলদারদের উচ্ছেদ, খাটাল সরানো-সহ বেশ কিছু নির্দেশ এনজিটি দিয়েছিল। অভিযোগ, প্রকল্প শেষের সময়সীমা শেষ হবে বছর খানেক পর, ২০২৫-এর সেপ্টেম্বরে—কিন্তু ওই সব কাজের প্রায় কিছুই হয়নি। এমনকী, সে সব কাজের জন্য বরাত পর্যন্ত দেওয়া হয়নি কোনও সংস্থাকে।

    আদিগঙ্গার সংস্কার প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করার কথা কেন্দ্রীয় সরকারের। তবে নোডাল এজেন্সি হিসেবে কলকাতা পুরসভা ওই সংস্কারের দায়িত্বে। পরিবেশকর্মীদের অনেকেই মনে করেন, জবরদখল উচ্ছেদ না-করে আদিগঙ্গা সংস্কার কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। এই নিয়ে এনজিটি-তে মামলা করেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত।

    ২০২৩-এর ৯ জানুয়ারি এনজিটি নির্দেশ দেয়, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে জানাতে হবে যে, বেদখল হওয়া পাড় দখলমুক্ত, পাড় থেকে খাটালগুলো সরানো, খালের জল যাতে দূষিত না-হতে পারে, সেই লক্ষ্যে আদিগঙ্গার দু’পাড়ে বেড়া দেওয়া— এই সব পদক্ষেপ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ হয়েছে কি না।

    সম্প্রতি এনজিটি-তে ওই মামলার শুনানি ছিল। মামলাকারী সুভাষ দত্ত জানান, এনজিটি-র বিচারপতি বি অমিত স্থালেকর এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য অরুণ ভার্মা জানতে চান, রাজ্যের কাছে যে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল, সেই রিপোর্ট এসেছে কি না। রিপোর্ট জমা পড়েনি, সে কথা জানার পরে বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাজ্য সরকারের কৌঁসুলি কিছু বলার চেষ্টা করলেও বিচারপতি তা শুনতে চাননি।
  • Link to this news (এই সময়)