রচনার কেন্দ্রে বিজেপি ছেড়ে রাজ্য শাসক দলে যোগ একাধিক নেতা-কর্মীর
এই সময় | ০৭ জুলাই ২০২৪
লোকসভা নির্বাচনের পর হুগলির রাজনৈতিক হাল হকিকতে আমূল বদল হয়েছে। বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে সাংসদ হয়েছেন তৃণমূলের রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে হুগলিতে বিজেপিতে ভাঙন! ধনেখালিতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন প্রায় ২৫০ জন।শনিবার সন্ধ্যায় ধনেখালি বাসস্যান্ড এলাকায় একটি জনসভার আয়োজন করা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। সেই জনসভাতেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন একাধিক কর্মী। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র।
এদিন বিধায়ক অসীমা পাত্র বলেন, 'ধনেখালিতে প্রায় ২৫০ জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিলেন। আগামীদিনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।' বিজেপি শুধুমাত্র 'শিল্পপতি এবং কর্পোরেট'-দের সরকার বলে কটাক্ষ করেন তিনি। সাধারণ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতে চান এবং সেই কারণেই তৃণমূলে যোগদানের উৎসাহ বাড়ছে বলে জানান তিনি।
এদিনের সভায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করা নেতা নেত্রীদের দাবি, 'বিজেপি সরকার বাংলার উন্নয়ন বন্ধ করে দিয়েছে। সেই কারণে তাঁরা আর বিজেপিকে চাইছেন না। বাংলা নিজের মেয়েকেই চাই।' পাশাপাশি দলের নীচু তলার কর্মীদের কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না এবং উপর তলার কর্মীরা নিজেদের স্বার্থ ছাড়া কিছু দেখে না, এমনটাই দাবি তাঁদের।
এই যোগদানের পর স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া তৃণমূলে। অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, 'এই যোগদানের নেপথ্যে রয়েছে সন্ত্রাস। আজ ভয় পেয়ে কিছু বিজেপির কার্যকর্তা তৃণমূলে যোগদান করেছে। এই দলবদল স্বতঃস্ফূর্ত নয়।'
প্রসঙ্গত, হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে ২০১৯ সালে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র জয়ের জন্য তৃণমূল সৈনিক হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন ‘দিদি নং ১’ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
রচনা এবং লকেট একদা সতীর্থ ছিলেন। টলিউডের এই দুই জনপ্রিয় মুখের রাজনৈতিক লড়াইয়ের দিকে তাকিয়েছিল গোটা রাজ্য। প্রচারে অবশ্য রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুব একটা বেশি আক্রমণের পথে হাঁটেননি লকেট চট্টোপাধ্যায়। বরাবর তিনি মোদী বনাম মমতার রাজনীতিকেই ঢাল করেছেন। সেই জায়গায় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি রাজনৈতিক আক্রমণ করেছেন বহুবার। অবশেষে এই নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভায় গোটা রাজ্যে ২৯টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। মাত্র ১২টি আসন পেয়েছে বিজেপি।