• হস্টেল থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ, বেঙ্গালুরুতে রহস্যমৃত্যু দুর্গাপুরের নার্সিং ছাত্রীর
    এই সময় | ০৭ জুলাই ২০২৪
  • মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন কয়েক ঘণ্টা আগেই। এরপরেই হঠাৎ এল মেয়ের মৃত্যুর খবর। বেঙ্গালুরুতে রহস্যমৃত্যু দুর্গাপুরের নার্সিং ছাত্রীর। মৃত পড়ুয়ার নাম দিয়া মণ্ডল (২১)। হস্টেলের ঘর থেকে ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এটা আত্মহত্যা নাকি ছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে, তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।নার্সিং পড়তে গিয়ে ভিনরাজ্যে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল কাঁকসার গোপালুপরের এক ছাত্রীর। রবিবার ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোপালপুর গ্রামে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থল বেঙ্গালুরু রওনা দিয়েছেন। জানা গেছে, মৃত ওই ছাত্রী গোপালপুর উত্তরপাড়ার সত্যনারায়নপল্লীর বাসিন্দা।

    ছাত্রীর বাবা দেবাশিস মণ্ডল রান্নার কাজ করে সংসার চালান। তাঁর একমাত্র মেয়ে দিয়া। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, স্নাতক পাস করার পর দিয়া বেঙ্গালুরুতে মাদার টেরেসা গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনে নার্সিং নিয়ে পড়ছিল। নার্সিং পড়াশুনা শেষ করে সংসারের হাল ধরতে চেয়েছিল দিয়া। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, প্রতিদিনই নিয়ম করে দিয়া সন্ধ্যেবেলা মায়ের কাছে ফোন করে কথা বলতো।

    রোজকার মতই শুক্রবার সন্ধ্যে নাগাদ দিয়া মায়ের সঙ্গে কথা বলে। তখনও ঘুণাক্ষরেও তাঁর মা টের পাননি এরকম মর্মান্তিক পরিণতি হবে মেয়ের। ফোনে কথা বলার ঘণ্টা খানেক পর দিয়ার এক সহপাঠী বাড়িতে ফোন করে জানায় দিয়া মারা গিয়েছে। হঠাৎ ওই খবর শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয় মণ্ডল দম্পতির। সহপাঠী জানান, হস্টেলের বিছানায় ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

    খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। শোকস্তদ্ধ গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দা জয়দেব সরকার বলেন, ‘দিয়া পড়াশোনায় খুব ভালো। পরিবারও খুবই ভাল। দিয়া নিজেও মিষ্টি স্বভাবের মেয়ে। এরকম একটি মেয়ের কী ভাবে মৃত্যু হল? ভাবতে অবাক লাগছে। তাই ঘটনার তদন্তের আর্জি জানাচ্ছি।’

    দিয়ার বাবা দেবাশিস মন্ডল ফেনে বলেন, ‘রান্নার কাজ করে মেয়েকে পড়াশোনা করতে পাঠিয়েছিলাম। মেয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়েছিল। গোটা ঘটনা আমাদের কাছে ধোঁয়াশা লাগছে।’ তিনি জানান, ওখানকার পুলিশ বলেছে মৃত্যুর পেছনে পারিবারিক কারণ থাকতে পারে। কিন্তু, বাড়িতে কোনওরকম কোন অশান্তি হয়নি। সন্ধ্যা তার মায়ের সঙ্গে রোজকার মতই কথা বলেছে। আমরা বেঙ্গালুরু পৌঁছেছি। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানান ছাত্রীর বাবা। যে মেয়ে কয়েক ঘণ্টা আগেই মায়ের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কথা বলেছে, সে হঠাৎ আত্মহননের সিদ্ধান্ত কেন নেবে? প্রশ্ন তুলছেন পরিবারের লোকজন।
  • Link to this news (এই সময়)