• গ্রামোন্নয়নে বিপুল টাকা বকেয়া বাংলার, কেন মিলছে না অর্থ? জানতে চাইবে রাজ্য
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ জুলাই ২০২৪
  • খুব শীঘ্রই নয়াদিল্লিতে ডাক পেতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর তাই গ্রামোন্নয়নের একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার যে পরিমাণ বকেয়া আটকে রেখেছে সেই তথ্য তৈরির নির্দেশ দিল নবান্ন। এবার লোকসভা নির্বাচনের পর পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে। তৃতীয় এনডিএ সরকারে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী বদল হয়েছে। নতুন মন্ত্রী হয়েছেন শিবরাজ সিং চৌহান। তিনি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েই বকেয়া আটকে থাকার বিষয়ে শুনবেন বলে রাজ্যের কর্তাদের কাছে বলে সূত্রের খবর। বাংলার ১০০ দিনের কাজের টাকা থেকে শুরু করে আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তা নিয়ে কম চর্চা ও আন্দোলন হয়নি। কিন্তু টাকা মেলেনি।

    এই ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা যা কেন্দ্রের দেওয়ার কথা তা রাজ্য সরকার দিয়েছে। তারপর ফলাফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। বাংলায় এখন ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে এখনও পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে আবাস প্রকল্পের টাকা। তারও আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে একশো দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা। কাজও বন্ধ রয়েছে। বারবার নানা কাগজপত্র থেকে শুরু করে চিঠি পাঠানোর পরও মেলেনি টাকা। সমস্ত তথ্যই রিপোর্ট আকারে কেন্দ্রকে পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি নবান্নের। আগের মন্ত্রী গিরিরাজ সিং ও তাঁর অফিসারদের সঙ্গে বারবার সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী ও অফিসাররা। কিন্তু টাকা তো মেলেনি। উলটে কেন্দ্রীয় দল বারবার এসেছে।


    এখন প্রত্যেক রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন নয়া গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী। তাই প্রস্তুতি শুরু করেছে নবান্ন। আগের সমস্ত চিঠি থেকে শুরু করে বকেয়ার নথি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো নথি এক ফাইলে রাখার কাজ চলছে। সেখানে সব রিপোর্টই থাকবে। কোন প্রকল্পে কত বকেয়া আছে তার সবিস্তার রিপোর্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে পেশ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘‌সব রাজ্যের সঙ্গে নতুন গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী পর্যালোচনা শুরু করেছেন। নামের প্রথম অক্ষর মেনে ডাকা হলে আমাদের ডাক আসতে দেরি হবে। তবে সাক্ষাতে মন্ত্রীকে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করব। বকেয়ার সামগ্রিক তথ্য কেন্দ্রকে চিঠি লিখে পাঠাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’‌

    লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই কাজও চলছে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের উপর তাঁদের ভরসা নেই। রাজ্য সরকার সংশোধনের পরে প্রায় ১১.৩৬ লক্ষ আবাস উপভোক্তাকে অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারই। এমনকী কেন্দ্রীয় সরকার যে নির্দেশ দিয়েছিল সেটাও পালন করেছে রাজ্য সরকার। তাহলে কেন টাকা পাচ্ছে না বাংলা?‌ উঠছে প্রশ্ন। এই নিয়ে যাবতীয় তথ্য নতুন মন্ত্রীকে তুলে ধরা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এনডিএ সরকার এখন টাকা ছাড়লে তাতে গ্রামের মানুষের সমর্থন পরে মিলতে পারে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)