রাজ্যপালের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি। নন্দীগ্রামের নির্যাতিতা নাবালিকার পাশে দাঁড়ানোর কারণে এক যুবককে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। সেই কারণেই নিরাপত্তা চেয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখলেন সাবির আলি শা।ইতিমধ্যে রাজভবনে পৌঁছে সেই চিঠি জমা দিয়েছেন নন্দীগ্রাম দুই নম্বর ব্লকের বাসিন্দা তথা ডিওয়াইএফআইয়ের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য সাবির আলি শা। নন্দীগ্রামের নির্যাতিতা নাবালিকার পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি। জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের দ্বিতীয় খণ্ড জালপাই গ্রামে এক নাবালিকাকে স্থানীয় যুবক শারীরিক অত্যাচার করে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে নন্দীগ্রাম থানায় পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে অভিযোগকারি ডিওয়াইএফআই নেতা সাবির আলি শা জানিয়েছেন, ‘নাবালিকাকে অত্যাচার করেও এলাকায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে দুষ্কৃতীরা। আমরা অত্যাচারিত নাবালিকার পাশে আছি বলে ওদের সমস্যা হচ্ছে। উলটে আমাদের প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে।’ আইনের শাসন নেই এলাকায় বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি জানান, নিরাপত্তার প্রয়োজনে রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
তবে এই নিরাপত্তার জন্য রাজ্যপালের কাছে যাওয়ার দরকার ছিল না বলে জানিয়েছেন নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ । তিনি বলেন, ‘রাজ্য পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে । ভরসা রাখুন দোষীরা গ্রেফতার হবে। শাস্তি পাবেই।’
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায়, প্রায় দেড় মাস আগে ছুটিতে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল ওই নাবালিকা। অভিযোগ, গত ২৫ মে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা পাশের বাড়ির এক ব্যক্তি ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। জানা যায়, অভিযুক্ত পেশায় রাজমিস্ত্রি, তিনি বিবাহিত, তার দুই মেয়েও রয়েছে। নন্দীগ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকে সেই ব্যক্তি। নাবালিকা জানায়, অভিযুক্ত তার সঙ্গে প্রথমে পরিচয় জমায়। তারপর তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার পর ওই নাবালিকাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। প্রথমে নিজের পরিবারের কাছে বিষয়টি ভয়ে জানাতে পারেনি ওই নাবালিকা। পরে সে পরিবারকে পুরো বিষয়টি জানায়। এরপর ১০ জুন নন্দীগ্রাম থানায় লিখিতভাবে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। কয়েক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে।