• আগুন লাগানোর আগে ছেটানো হয় ক্লোরোফর্ম, বোলপুরকাণ্ডে প্রকাশ্যে নয়া তথ্য
    এই সময় | ০৮ জুলাই ২০২৪
  • বোলপুর থানার রায়পুরের সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন গীত গ্রামে ৩ জনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আজ, রবিবার এই ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে মৃত আব্দুল আলিমের সেজ ভাইয়ের স্ত্রী নাজনীন নিহারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই উঠে এসেছে হত্যাকাণ্ডের নৃশংস ঘটনার কথা।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে জানলা দিয়ে ক্লোরোফর্ম স্প্রে করে প্রথমে অচৈতন্য করে দেওয়া হয় ঘরে থাকা সকল সদস্যকে। আর তার পরই সেই জানলা দিয়েই পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে ঠান্ডা মাথায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবেই খুন করা হয় তিন জনকে। আগেই মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত হাতুড়ে ডাক্তার চন্দন ইসলাম। আর তারপরেই মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার পর আব্দুল আলিমের ভাইয়ের বউ নাজনী নিহার ও চন্দন ইসলাম দু'জনে এই পরিকল্পনামাফিক খুনের কথা স্বীকার করে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

    রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানান, শফিকুল ইসলাম ওরফে চন্দনের সঙ্গে নাজনীন নিহারের অবৈধ সম্পর্ক ছিল । সেই সম্পর্কের তীব্র প্রতিবাদ করেছিল আব্দুল আলিমের পরিবার। তাই নাজনীন নিহার ও তার প্রেমিক পরিকল্পনা করে যে এর একটা প্রতিশোধ নিতে হবে। তারপর তারা দু’জনে পরিকল্পনা করে এবং পরিকল্পনামাফিক প্রথমে নাজনীন নাহার ক্লোরোফর্ম স্প্রে করে খোলা জানালা দিয়ে এবং সেই ক্লোরোফর্ম করার কারণে পরিবারটি অচৈতন্য অবস্থায় চলে যায়।

    তখন তারা খোলা জানালা দিয়ে পেট্রল ঢালে এবং আগুন ধরিয়ে দেয় এবং এই পেট্রল ঢালার সময় একটু পেট্রলের ছিটে চন্দন ইসলামের গায়েও পড়েছিল। যার জন্য তার গায়ে পোড়ার ক্ষত পেয়েছে পুলিশ। মূলত পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই তাদেরকে খুন করার উদ্দেশ্যেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। আরও কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    এই ঘটনায় ঘুমন্ত অবস্থায় পরিবারের তিন সদস্য আব্দুল আলিম(৩৮), তাঁর স্ত্রী কেরিমা বেগম (৩০) এবং ছোট ছেলে আয়ান শেখ (৪) এর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর আব্দুল আলিমের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এই নির্মম হত্যালীলার তদন্ত অনেকটাই গুটিয়ে আনা গিয়েছে জানিয়েছে পুলিশ।
  • Link to this news (এই সময়)