• বিহারের জেলে বসে ব্যারাকপুরে অশান্তির ছক সুবোধের!
    ২৪ ঘন্টা | ০৮ জুলাই ২০২৪
  • বরুণ সেনগুপ্ত: বিহারের জেলেই বসেই বিভিন্ন অপরাধের ছক কষত সুবোধ সিং, রওশন, সাহিলরা। ওই জেলেই আর অনেক সাকরেদ আছে সুবোধের। এমনটাই সূত্রের খবর। তাপসকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সুবোধের আর এক সঙ্গী রওশন যাদবকে বেউর জেল থেকে নিয়ে আসে বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটে। এখানে আসার পর দেখা যায় এই রওশন মণীষ শুক্লা খুনের সঙ্গে জড়িত। সেই সময় পুলিস তাকে গ্রেফতারও করেছিল। তখন তার বয়স ১৮ নিচে থাকায় কেস জুভেনাইলে চলে যায়। কিছুদিন পর সে ছাড়াও পেয়ে যায়। বিহারে অন্য অপরাধ করে আবার ধরা পরে তার পর থেকেই সে বেউর জেলে। এবার সে তার পাশের সেলেই পেয়ে যায় সুবোধকে। আর প্রথম থেকেই সুবোধের প্রিয় ছিল এই রওসান। তাদের জুটি আরো মজবুত হয়।

    বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা রওশন খুবই গরিব ঘরের সন্তান। কিন্ত বেউর জেলে আসার পরেই তাদের পরিবারের অবস্থা ফিরতে থাকে। এর মধ্যেই ওই জেলে আসে সাহিল সিং। সেও স্থান পায় সুবোধে পাশের আর একটি সেলে। এখান থেকে চলতে থাকে তাদের আপরাধের দুনিয়া। বিভিন্ন রাজ্যে তারা অপরাধ জগতের মানুষের সাথে দল গড়তে থাকে। পুলিসের অনুমান এমন একাধিক দল রয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে। আর এই আপরাধ জগতের মুলত রাশ থাকে সুবোধের উপরে। কখন কোন ব্যাবসায়ী কে হুমকির দিয়ে টাকা চাই তে হবে। কার উপর গুলি চালাতে হবে। কোন সোনার দোকান কবে লুট করতে হবে তার ব্লুপিন্ট তৈরি করতো সুবোধ। আর রওশনদের দায়িত্ব ছিল কাকে কি ভাবে কাজ করাতে হবে।

    সুবোধের হয়ে অনেক সময় ফোন করত রওশন। অজয় মন্ডলের উপর হামলার ছক বেশ কিছুদিন আগেই হয়। আর এর মধ্যেই জামিনে ছাড়া পায় সাহিল সিং। পুলিসের অনুমান এই সময় অজয় মন্ডলকে হুমকির দেয় সুবোধ ও তার উপর গুলি চালিয়ে ভয় দেখানো দায়িত্ব পড়ে সাহিল সিংয়ের উপরে। গুলি চালানোর সময় যে বাইকে তারা এসেছি সেখানে দুই জনকে দেখা যায়। পুলিসের ধারনা এই অপরেশনে কম করে আশেপাশের আরো দুটি বাইক ছিল যা ঐ বাইকে কভার করছিল। পুলিস এখন বেশ কিছু তথ্য প্রমান খতিয়ে দেখছে। সিআইডির থেকে সুবোধ কে তাদের হাতে পাওয়া ও চেষ্টা করবে তারা। এই সব পুরনো নতুন মামলা এক জায়গাতে করে সুবোধের পুরো টিম টাকে কী করে জালে তোলা যায় সেই দিকেই মরিয়া পুলিস কর্তারা।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)