জানা গিয়েছে, কল্যাণীর বাসিন্দা অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল অদিতির। পরবর্তীতে দেড়বছর আগে দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে হয় তাঁদের। অনির্বাণ পেশায় চাকদহ আইন কলেজের অধ্যাপক। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণের দাবিতে অদিতির উপর শুরু হয় অত্যাচার। এ পর্যায়ে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ। এসবের মাঝেই শনিবার বাড়ির মালিক ফোন করে অদিতির বাড়িতে জানান তাঁদের মেয়ে খুব অসুস্থ। বাচ্চাটিকে দেখভাল করার জন্য তাঁদের প্রয়োজন। খবর পেয়ে ইছাপুর থেকে গাড়ি ভাড়া করে অদিতির পরিবারের লোকজন যান জেএনএম হাসপাতালে।
তাঁরা গিয়ে দেখেন জরুরি বিভাগের সামনে ট্রলিতে পড়ে অদিতির নিথর দেহ। তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দেখা নেই। এর পর জানতে পারেন অদিতি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু অদিতির বাবা-মা তা মানতে নারাজ। তাঁদের অভিযোগ, অদিতিকে গলা টিপে খুনের পর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে তাঁরা কল্যাণী থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন। অদিতির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেএনএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।