রথের দিন ‘আদ্রার নারী শক্তি’ সংগঠনের দুর্গাপুজোর খুঁটিপুজো
বর্তমান | ০৮ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর: মা দুর্গা নারী শক্তির বিজয়ের রূপ। তাঁকে পাথেয় করেই ‘আদ্রার নারী শক্তি’ সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আদ্রা থানার পলাশকোলা, কাটারাঙুনি, দুর্গাপল্লি ও বেকো অঞ্চলের একদল মহিলার উদ্যোগে ২০২২ সালে নারী শক্তির জাগরণে মাতৃ আরাধনা শুরু হয়। তাদের পুজো এবার তৃতীয় বর্ষে পড়ল। রবিবার রথের দিন খুঁটি পুজো হল। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সকল সদস্য ছাড়াও বিশিষ্ট মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।
এলাকার মেয়েদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির দিক থেকে সাবলম্বী করতে আদ্রা নারী শক্তি সংগঠন কাজ করে। তাদের বিশেষ লোগোতেও সেই কথারই উল্লেখ রয়েছে। ২০২১ সালে সংগঠনের সদস্যরা দুর্গোপুজো করার উদ্যোগ নেন। তার জন্য নিজেরাই টাকা জমাতে শুরু করেন। ২০২২ সালে সেই জমানো প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু হয় মাতৃশক্তির আরাধনা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমা তথা জেলায় এটিই ছিল মহিলা পরিচালিত প্রথম পুজো। শুধু পুজোই নয়, প্রতিদিন থাকে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুজো কমিটির সম্পাদক শিল্পা বাউরি বলেন, আমরা দেখিয়ে দিতে চেয়েছিলাম মেয়েরাও কোনও অংশে কম নয়। সমাজে একটা মেয়েকে নানা সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়। তাই মাতৃশক্তির রূপ হিসেবে মা দুর্গার পুজো শুরু করা হয়।
কমিটির সভাপতি সোমা কর্মকার বলেন, শুধুমাত্র দুর্গাপুজো নয়, বিভিন্ন সামাজিক কাজেও আমাদের সদস্যরা সবার আগে থাকে। সবুজায়নের জন্য বৃক্ষরোপণ, দুঃস্থ মানুষদের অন্নবস্ত্র দান, স্বাস্থ্য শিবিরের মতো অনুষ্ঠান করা হয়। কোষাধ্যক্ষ সবিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা নিজেদের আদায় করা চাঁদায় পুজোর আয়োজন করে থাকি। গত বছর থেকে রাজ্য সরকারের অনুদান পাচ্ছি। নারী সমাজ ঐক্যবদ্ধ হলে বৃহৎ কাজ সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব আদ্রা নারী শক্তি তা প্রমাণ করে দেখিয়েছে। খুঁটিপুজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংগঠনের সদস্য ময়না কর্মকার, গীতা গড়াই, অর্পিতা পাল, সীমা গড়াই বলেন, আমাদের এবারের থিম বর্ণপরিচয়। এক নতুন ভাবনার মধ্য দিয়ে আমরা সমাজকে এক অন্যরকম থিম উপহার দিতে চলেছি। পুজোর একমাস আগে থেকে কেনাকাটার যাবতীয় কাজ করা হয়। সমস্ত কাজ আমরা মেয়েরাই করি।