নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: হু হু করে বাড়ছে জলস্তর। বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই কুলিক নদীর জল। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, কুলিকের বিপদসীমা ৩১.২০ মিটার। সেই জায়গায় রবিবার সকাল আটটা পর্যন্ত জলস্তর ছিল ২৯.০৫ মিটার। এই নদীর চরম বিপদসীমা হচ্ছে ৩২.৭৫ মিটার।
সেচদপ্তরের উত্তর দিনাজপুর ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার নীরজকুমার সিং বলেন, কুলিকে জল বেড়েছে। তবে এদিন নতুন করে জলস্তর বৃদ্ধি পায়নি। বাংলাদেশে কতটা বৃষ্টিপাত হচ্ছে, তার ওপর এই নদীর জলস্তর বৃদ্ধি নির্ভর করছে।
সেচদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ বা উত্তর দিনাজপুর জেলার বৃষ্টিপাতের সঙ্গে কুলিকের জলস্তর বৃদ্ধির খুব একটা সম্পর্ক নেই। কুলিকের ‘ক্যাচমেন্ট’ (যেখানে বৃষ্টির জল নদীতে পৌঁছয়) এরিয়া মূলত বাংলাদেশ এবং বিহারের কিছুটা অংশ। কাজেই এই দুই অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হলে তবেই কুলিকের জলস্তর হুহু করে বেড়ে যাবে।
সেচদপ্তর আরও জানিয়েছে, কুলিকের জল এই জেলার ইটাহার ব্লকের গোরাহারে গিয়ে নাগর নদীতে মিশেছে। নাগর ইতিমধ্যেই বিহার ও বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ জল নিয়ে আসছে। স্বাভাবিকভাবে নাগরের জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। যার ফলে কুলিকের জল এখন আর নাগরে মিশতে পারছে না। কুলীকের জলস্তর বৃদ্ধির এটাও একটা অন্যতম কারণ।
কুলিকের পাশাপাশি নাগর নদীতেও জলস্তর বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। নাগর নদীর বিপদসীমা রয়েছে ৩১.৫৪ মিটার। সেখানে এদিন সকালে জলস্তর ছিল ২৯.৭০ মিটার। নাগরের চরম বিপদসীমা রয়েছে ৩১.৮৬ মিটারে।
ইটাহার ব্লক দিয়ে বয়ে যাওয়া গামারি নদীর জলস্তরও বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। গামারি নদীর বিপদসীমা ২৬.৮২ মিটার। গামারির চরম বিপদসীমা ২৭.৪১ মিটার। এদিন গামারির জলস্তর ছিল ২৫.৫০ মিটার। ইটাহার ব্লকের পাজোলে এদিন সুই নদীর জলস্তর দেখা গিয়েছে ২৫.৭০ মিটার। এর বিপদসীমা ২৭.৪৩ এবং চরম বিপদসীমা ২৮ মিটার।
এছাড়াও কালিয়াগঞ্জ ব্লকের রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে টাঙ্গন নদীর জলস্তর বেড়ে হয়েছে ৩০ মিটার। বাংলাদেশ থেকে আসা টাঙ্গনের বিপদসীমা ৩৩.৪৫ এবং চরম বিপদসীমা ৩৪.০৫ মিটার।
আপাতত স্বস্তির খবর, মহানন্দার জলস্তর এদিন স্বাভাবিকই ছিল। সেচ দপ্তর জানিয়েছে, চোপড়া ব্লকের সোনাপুরে মহানন্দার জলস্তর ছিল ‘বিলো গেজ’। অর্থাৎ এই জলস্তর হিসেব করা হয় না। কুলিকে জল বাড়ছে। নিজস্ব চিত্র