দুর্গাপুজোর পর উদ্বোধন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
এই সময় | ০৮ জুলাই ২০২৪
এই সময়: এ বছর দুর্গাপুজোর পরেই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হতে চলেছে বলে রবিবার, রথযাত্রার দিন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, মন্দির নির্মাণ, মূর্তি নির্মাণ, রথ তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলেও অন্য কিছু কাজ বাকি থাকায় এ বারের রথযাত্রার আগে ওই মন্দিরের উদ্বোধন করা গেল না।মধ্য কলকাতায় ইসকনের রথযাত্রার সূচনা অনুষ্ঠানে রবিবার উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠান থেকে তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে আলিপুরদুয়ার শহরে দক্ষিণেশ্বরের আদ্যাপীঠের একটি শাখার উদ্বোধন করেন। দক্ষিণেশ্বরের অদূরেই দেবী আদ্যার পীঠস্থানে রয়েছে মন্দির। ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ দিন ছিলেন আদ্যাপীঠের সাধারণ সম্পাদক ও অছি ব্রহ্মচারী মুরাল ভাই।
আলিপুরদুয়ারের আদ্যাপীঠ মন্দিরের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মুরাল ভাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি, তিনি আদ্যাপীঠের আদলে আলিপুরদুয়ারে একটি বড় মন্দির উদ্বোধন করার সুযোগ আমাকে দিয়েছেন। তিনি নিজেও উপস্থিত রয়েছেন। তাঁকেও আমাদের প্রণাম। বাংলায় আমরা দুর্গাপুজো নিয়ে মেতে থাকি, সব ধর্ম নিয়েও মেতে থাকি। জগন্নাথদেবও আমাদের কাছে অতি পবিত্র ও প্রিয়। বাংলার অর্ধের লোককে আজ পুরীতে জগন্নাথ দর্শনে দেখতে পাবেন।’
অঝোরে তখন বৃষ্টি, তার মধ্যেই এ দিন ইসকনের রথযাত্রার সূচনা অনুষ্ঠানে গিয়ে মমতা রথের রশিতে টান দেওয়ার আগে জগন্নাথদেবের পুজো ও আরতি করেন। এ বছর দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে গেলে সেখানেই রথযাত্রার আয়োজন করা হবে বলে ঠিক ছিল। কিন্তু সব কাজ শেষ না-হওয়া পর্যন্ত মন্দিরের উদ্বোধনে সবুজ সঙ্কেত দিতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর কথায়, ‘দিঘায় পুরীর অনুকরণে একেবারে সমান উচ্চতায় মন্দির হয়েছে। মার্বেলের ঠাকুর তৈরি হয়েছে। রথ তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু কাজ বাকি রয়েছে। একেবারে সম্পূর্ণ হলে পুজোর পর উদ্বোধন করব। মন্দির উদ্বোধন না-হলে রথযাত্রা কী করে করব? আগামী বছর থেকে ওখানে রথযাত্রা হবে।’
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আপনাদের সবাইকে আগাম আমন্ত্রণ রইল। মন্দিরের যখন উদ্বোধন হবে, আপনারা সবাই তখন আসবেন এবং উপলব্ধি করবেন যে, এই কাজ এত তাড়াতাড়ি আমরা কী ভাবে করলাম।’ ইসকনের রথযাত্রার সূচনা অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন ছিলেন ঘণ্টা খানেক, তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।
ইসকনের সন্ন্যাসী, পূজারীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে আমার চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে। (চোখে) জল পড়া বারণ। (চোখে) জল যাতে না-পড়ে, তার চেষ্টা করছি। এত বর্ষার মধ্যে রক্ষা করতে পারব কি না, জানি না। ইনফেকশন হয়ে যাবে। তাই, চোখ ঢেকে রাখছি। আপনারা ভালো করে পাঁপড় ভাজা খাবেন। ভালো করে জিলিপি খাবেন। তেলেভাজা, খাজা, গজা— এই সব খাবেন।’