প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির আবেদন বিবেচনা অফলাইনেই, নির্দেশ হাইকোর্টের
এই সময় | ০৮ জুলাই ২০২৪
প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির আবেদন অফলাইনে বিবেচনা করতে হবে। বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধ থাকার কারণে একাধিক শিক্ষকের বদলি আটকে ছিল। সেই কারণেই অফলাইনে আবেদন বিবেচনা করার নির্দেশ দেওয়া হল বোর্ডকে।প্রাথমিকে শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধ থাকার যুক্তি আর কার্যকর হবে না বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তামান্না বেগম নামে এক শিক্ষিকার বদলির আবেদনের মামলায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, এখন থেকে প্রাথমিক শিক্ষকদের সব বদলির আবেদন অফলাইনে বিবেচনা করতে হবে বোর্ডকে। ফলে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে পোর্টাল বন্ধ থাকায় বদলি আটকে থাকার যে কারণ তা সমাধান হল বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।
আদালতের বক্তব্য, এখন থেকে অফলাইনে যত আবেদন আসবে সব ওই একই ভাবে বিবেচনা করতে হবে বোর্ডকে। প্রায় তিন বছর উত্তর দিনাজপুরের প্রাথমিক স্কুলে কর্মরত তামান্না বেগম। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ওই শিক্ষিকার বছর পাঁচেকের মেয়ে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছে। এই কারণ দেখিয়ে তিনি বীরভূমে নিজের বাড়ির কাছে বদলি চান বোর্ডের কাছে। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় বোর্ড। তিনি মামলা করেন হাইকোর্টে।
সেই মামলায় বিচারপতি মান্থা তাঁর আবেদন আইন অনুযায়ী বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছেন বোর্ডকে। পাশাপাশি, প্রাথমিকের সব বদলির আবেদন অফলাইনে বিবেচনার নির্দেশ দেয় আদালত বোর্ডকে। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকের উৎসশ্রী পোর্টাল ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অফলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির আবেদন গ্রাহ্য করে সেটি বিবেচনা করা হলে অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকারা বদলির সুযোগ পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অন্য জেলা ও একই জেলার দূরবর্তী স্কুল থেকে বাড়ির কাছাকাছি বদলির দাবিতে আবেদন জানানো হয়েছিল দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু, অনালাইনে উৎসশ্রী পোর্টালের আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ থাকার কারণে বিষয়টি আটকে ছিল দীর্ঘদিন। চলতি বছরের শুরুতেই বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি স্কুলশিক্ষা কমিশনার ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির কাছে বিষয়টি নিয়ে দরবার করেছিল।
তাঁদের দাবি ছিল, উৎসশ্রী পোর্টাল চালু থাকাকালীন হাজার-হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার আবেদন নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পড়ুয়া অনুপাতে শিক্ষক-শিক্ষিকা কম থাকার কারণে অনেককেই বদলি করা হয়নি। বিশেষত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো জেলাগুলিতে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা বদলি হতেই পারেননি। এবার হাইকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, সেটাই দেখার।