লোকসভা নির্বাচন মিটতে না মিটতেই ফের ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে নাগরিকত্বের আবেদনের ক্যাম্পের আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী বুধবার নাগরিকত্বের আবেদন করবার জন্য ঠাকুরবাড়িতে বসবে ক্যাম্প করা হবে। বাগদার উপনির্বাচনে আগে মতুয়া সম্মেলনে এসে জানালেন শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু ঠাকুরের মুখে উঠে এল এনআরসি প্রসঙ্গও। পালটা প্রতিবাদ তৃণমূলের।বাগদা উপনির্বাচন উপলক্ষে মতুয়াদের নিয়ে সম্মেলনের আয়োজন করেছিল বাগদা ব্লক মতুয়া মহাসংঘ। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ লোকসভার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন l, ‘সিএএ চালু হয়েছে কিন্তু কার্যকর করতে আপনাদের আবেদন করতে হবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত সার্টিফিকেট পাচ্ছেন, ততক্ষণ সমস্যা থেকে যাচ্ছে।’ এরপরেই তিনি ঘোষণা করেন আগামী বুধবার থেকে ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে আবেদন করবার জন্য ক্যাম্প বসবে।
পরবর্তীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন, আগামী বুধবার থেকে ঠাকুরনগর ঠাকুর বাড়িতে ক্যাম্প করে নাগরিকত্বের আবেদন জমা দেওয়া হবে। রবিবার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বাগদায় উপনির্বাচনের প্রচারে এসে কটাক্ষ করেছিলেন, ‘সিএএ কোনও মোয়া না লাড্ডু।’ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন ববি হাকিম কোন ফ্যাক্টর না উনি যেখানে ফ্যাক্টর সেখানে গিয়ে কথা বলুন।’
শান্তনু ঠাকুরের মুখে এদিন ফের আসে এনআরসির কথা। তিনি এদিনের সম্মেলনে বলেন, ‘এটা না থাকলে কী সমস্যা আসতে পারে আজ প্রকাশ্যে বলি।আগামীতে ভারতবর্ষে যদি এনআরসি হয়, তাহলে আপনার কাছে সরকারের আইন অনুসারে সার্টিফিকেট আছে, থাকবে। আপনাকে এনআরসিতে বের করা সম্ভব নয়। তাই মতুয়ারা কখনওই এনআরসির আওতায় আসবে না।’
তবে, এই ক্যাম্প করার বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত বিরোধিতা করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর বলেন, ‘ এইভাবে ক্যাম্প করা একটা ভাঁওতা, মানুষ এটা মানছে না। এটা তো কেন্দ্রীয় সরকার করবে। এটা তো ওঁর (শান্তনু ঠাকুর) ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়। আমরা তো শুরু থেকেই নিঃশর্ত নাগরিকত্ব চাইছি।’ বাগদা উপনির্বাচনের আগে মানুষকে ভুল বার্তা দিতে এই ক্যাম্প করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।’
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের আগেই চালু করা হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। এই আইনের বিরোধিতা করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। লোকসভা নির্বাচনের আগেও বেশ কিছুদিন ঠাকুর বাড়িতে এই ধরনের ক্যাম্প করা হয়েছিল। তবে একাধিক নথি জমা দিয়ে এই নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়ে বিরোধিতা করে নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে।