• হারানো টমিকে খুঁজে দিলে তিন হাজার টাকা পুরস্কার, লিফলেট বিলি তরুণীর
    এই সময় | ০৮ জুলাই ২০২৪
  • এই সময়: টিউশন পড়তে বছর পাঁচেক আগে ইএম বাইপাস লাগোয়া কাদাপাড়ায় যেতেন সুদর্শনা ভট্টাচার্য। আসা-যাওয়ার পথেই সল্টলেকের এ এইচ ব্লকের বাসিন্দা ওই তরুণী বিস্কুট-সহ নানা খাবার দিতেন কাদাপাড়ার পথকুকুরদের। হঠাৎ একদিন দমকলের গাড়ির ধাক্কায় মারা যায় সেখানকার একটি কুকুর এবং তার দু’টি ছানা। অনাথ হয়ে যায় আরও কয়েকটি ছানা। এই ঘটনা মেনে নিতে পারেননি সুদর্শনা।ছোট থেকেই পশুপ্রেমী ওই তরুণী অনাথ একটি ছানাকে নিয়ে আসেন বাড়িতে। নাম দেন টমি। তারপর থেকে সুদর্শনার বাড়িই ছিল টমির ঠিকানা। তবে, সম্প্রতি সেই টমিকে বাড়ির সামনে থেকে কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় কিশোর চুরি করে চম্পট দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সুদর্শনা।

    প্রিয় পোষ্যকে খুঁজে পেতে বিধাননগর পূর্ব থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন ওই তরুণী। পাশাপাশি, টমির খোঁজ কেউ দিতে পারলে, তাঁকে নগদ তিন হাজার টাকা পুরস্কার দেবেন বলেও বিভিন্ন মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন তিনি।

    কী ভাবে চুরি গেল টমি?

    প্রতিদিন বিকেলে সুদর্শনার ওই পোষ্য বাড়ির সামনের রাস্তায় হাঁটতে যেত। ১৬ মার্চ বিকেলে সুদর্শনার মা পার্বতীদেবী বাড়ির সদর দরজা খুলতেই এক কিশোর টমিকে কোলে তুলে আদর করতে থাকে। তারপরই ওই কিশোর টমিকে নিয়ে চম্পট দেয়। বৃদ্ধা পার্বতীদেবী লাঠি ছাড়া হাঁটতে পারেন না। জোরে কথা বলারও সমস্যা রয়েছে তাঁর। তবুও বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাহায্য চেয়ে চিৎকার করেন তিনি।

    তবে, ওই চিৎকার শুনে যতক্ষণে আশপাশের বাড়ির লোকজন বেরিয়ে আসেন, ততক্ষণে এলাকা থেকে পালিয়েছে ওই কিশোর। ওই কিশোরের সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল বলে দাবি পার্বতীদেবীর। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ শুরু হয় টমির। এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যম থেকে সুদর্শনা জানতে পারেন, দমদমের সিঁথি এলাকায় ১ এপ্রিল টমিকে দেখা গিয়েছে।

    দমদমে গিয়ে একজনের কাছে টমির ছবি দেখেছেন সুদর্শনা। তবে এখনও ফিরে পাননি তাঁর প্রিয় পোষ্যকে। দীর্ঘ ৫ বছরের সঙ্গীকে খুঁজে পেতে লিফলেট ছাপান বেসরকারি সংস্থার কর্মী সুদর্শনা। যা দৈনিক সংবাদপত্রের সঙ্গে বিলিও করেছেন তিনি। সেখানে জানানো হয়েছে, লালচে বাদামি রঙের টমি গত ১৬ মার্চ ধরে নিখোঁজ। তাকে খুঁজে দিলে তিন হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

    সুদর্শনা বলেন, ‘প্রথম দিকে পুলিশের থেকে কোনও সাহায্য পাইনি। কিন্তু, আমার মা বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারের অফিসে চিঠি দেওয়ার পরেই থানা থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানিয়েছে থানা।’ বিধাননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘কুকুরটির খোঁজ চলছে।’
  • Link to this news (এই সময়)