তারাপীঠ থেকে পুজো দিয়ে ফেরার পথ দুর্ঘটনা, মৃত একই পরিবারের ২ জন, আহত আরও ৩। রবিবার বিকেলে এই ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গুরাপ থানার অন্তর্গত বসিপুরে। জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম ইরা মান্না(৬৫) ও সুমিত কুমার জানা(৫১)। সম্পর্কে তাঁরা শাশুড়ি-জামাই। আহতদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।রথযাত্রার দিন দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিল একটি লরি। সেই সময় কলকাতা অভিমুখী চার চাকা গাড়িটি হুগলির গুরাপের বসিপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা লরির পিছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চারচাকা গাড়িটি লরির নীচে চলে আসে। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে দুই জনের। গাড়িতে ছিলেন পাঁচ জন। অন্যান্য়দের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। পুলিশ দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি ক্রেনের সাহায্যে উদ্ধার করেছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার বেহালার ব্যবসায়ী সুমিত কুমার জানা তাঁর স্ত্রী এবং দুই সন্তান ও শাশুড়িকে নিয়ে তারাপীঠে যান। সেখানে পুজো দিয়ে রবিবার বিকেলের দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
গাড়িটির গতি কত ছিল? কোনওভাবে তাতে যান্ত্রিক কোনও ত্রুটি ছিল কিনা, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়িটি যেভাবে সজোরে এসে ধাক্কা দিয়েছিল লরিটিকে তাতে নিয়ন্ত্রণ হারানোর সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। কিন্তু, কী কারণে এই ঘটনা ঘটল? তা বিস্তারিত তদন্তের পর বলা সম্ভব বলেই জানাচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁরা আপাতত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, পথ নিরাপত্তা নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য একাদিক পদক্ষেপ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। চালু করা হয়েছে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’-এর মতো উদ্যোগও। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে হেলমেট পরা থেকে শুরু করে সুরক্ষার বিভিন্ন বিষয়গুলি নিয়ে সচেতন করা হচ্ছে নিয়মিতভাবে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্য়াম্পেইনের মাধ্যমে প্রচার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।