জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কলকাতা পুলিসের কমিশনার ও ডিসি সেন্ট্রালের বিরুদ্ধে সম্প্রতি চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে কলকাতার পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়াল এবং ডিসিপি ইন্দিরা মুখার্জির বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার জন্য রাজ্য পুলিসের ডিজি ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রবিবার রাতে এমনটাই জানা গিয়েছিল। যদিও তা ভিত্তিহীন বলে জানা যাচ্ছে খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, কোনও একটি রাজ্যে কর্মরত কোনও আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে কেন্দ্র একতরফাভাবে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে না। তিনি স্পষ্ট করে দেন, "কোনও শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম শুরু করা হয়নি।"
প্রসঙ্গত, রাজভবনের গরিমা নষ্ট করার পেছনে মদত জুগিয়েছে পুলিস। চিঠি লিখে এহেন অভিযোগ জানিয়েছেন সি ভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, রিপোর্টে বোস জানান, একজন সরকারি আধিকারিকের যেভাবে কাজ করা উচিত, তা করছে না কলকাতার পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়াল ও সেন্ট্রাল ডিভিশনের ডেপুটি পুলিস কমিশনার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। তার প্রেক্ষিতেই দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজি ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক চিঠি দিয়েছে বলে খবর সামনে আসে। যদিও তা খারিজ করে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সূত্র।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে রাজভবনে এক মহিলা কর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে৷ এই ঘটনায় পুলিস আধিকারিকদের প্ররোচনার অভিযোগ তোলেন রাজ্যপাল ৷ রাজ্যপালের অভিযোগ, আইপিএস আধিকারিকরা তাঁদের কাজকর্মের মাধ্যমে রাজ্যপালের কার্যালয়ের গৌরব নষ্ট করছেন। তাঁরা সরকারি আধিকারিকের মতো আচরণ করেননি। তাঁরা নিজেদের সুবিধামতো নিয়মকানুনকে অবহেলা করেছেন। উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত ঘটে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের রাজভবনে ঢুকতে বাধা দেওয়া নিয়ে। রিপোর্টে রাজ্যপাল বোস জানান, ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তরা অনুমতি নিয়ে রাজভবনে এসেছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ৷ কিন্তু আক্রান্তদের রাজভবনে ঢুকতে বাধা দিয়েছেন কলকাতা পুলিসের আধিকারিকরা।