• গার্ড ছাড়াই রওনা হাওড়া-ব্যান্ডেল শেষ ট্রেন! বিভ্রান্তিতে চলন্ত ট্রেন থেকে আতঙ্কে ঝাঁপ যাত্রীদের
    প্রতিদিন | ০৮ জুলাই ২০২৪
  • সুব্রত বিশ্বাস: যাত্রী না নামিয়েই চুঁচুড়া স্টেশন পেরিয়ে গিয়েছিল বর্ধমান লোকাল। রেলের সেই বিশৃঙ্খলার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার রাতে হাওড়া স্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়ের আগে গার্ড ছাড়াই ছাড়ল হাওড়া-ব্যান্ডেল শেষ লোকালটি রওনা দেয়। গার্ডহীন ট্রেন দেখে কেউ আতঙ্কে চলন্ত ট্রেন থেকেই প্ল্যাটফর্মে ঝাঁপ দিলেন, কেউ তড়িঘড়ি নামতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়লেন! এই হেনস্তার থেকে রক্ষা পাননি মহিলা যাত্রীরাও। ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রীরা রেল আধিকারিক ও আরপিএফকে ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বেশ কিছু সময় পর ওই ট্রেনটিই ফের ব্যান্ডেলের দিকে রওনা দেয়। রেল অবশ্য এর জন্য যাত্রীদের অনভিজ্ঞতাকেই দায়ী করেছে।

    জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ১১.৪৫ মিনিটের হাওড়া-ব্যান্ডেল (Howrah-Bandel) রাতের শেষ লোকাল ধরার জন্য হাওড়া স্টেশনে নিত্যযাত্রীদের ভিড় ছিল। আচমকাই অ্যাড্রেস সিস্টেমে ঘোষণা করা হয়, সাত নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ১১.৪৫ মিনিটের হাওড়া-ব্যান্ডেল লোকাল ছাড়বে। ডিসপ্লে বোর্ডেও তা দেখানো হয়। এর পরেই ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে বহু যাত্রী উঠে পড়েন। ১১.৩৪ মিনিট নাগাদ আচমকা গার্ড ছাড়াই ট্রেনটি (Local Train) চলতে শুরু করে। ট্রেন বেশ কিছুটা এগিয়ে গেলে যাত্রীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বহু যাত্রী ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে ঝাঁপ দেন। মহিলা কামরা থেকে তড়িঘড়ি নামতে গিয়ে দু’জন মহিলা প্ল্যাটফর্মে (Platform)পড়েও যান। শেষে যাত্রীদের চিৎকারে চালক ট্রেনটি থামান। এর পর শুরু হয় চরম যাত্রী বিক্ষোভ। পরে ওই ট্রেনটিই ১১.৫৪ মিনিট নাগাদ যাত্রীদের নিয়ে হাওড়া স্টেশন ছাড়ে।

    পূর্ব রেলের সিপিআরও (CPRO) কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, সাত নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো ট্রেনটির কারশেডে (Carshed) যাওয়ার কথা ছিল। ওই ট্রেনটি বেরিয়ে যাওয়ার পর প্ল্যাটফর্মে অন্য হাওড়া-ব্যান্ডেল লোকাল ঢোকার কথা ছিল, যা শেষ ট্রেন। কিন্তু যাত্রীরা ভুল করে কারশেডের ট্রেনে চড়ায় বিপত্তি শুরু হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, রেলের ঘোষণা ও ডিসপ্লে বোর্ডে (Display Board) ভুল তথ্য দেওয়ার ফলে এই ঘটনা হয়। রেল জানিয়েছে, ট্রেনের ডিসপ্লে বোর্ড লক্ষ্য না করায় এই বিপত্তি। পালটা যাত্রীদেরও বক্তব্য, শেষ লোকাল যাত্রীরা দৌড় ঝাঁপ করে এসে ট্রেন ধরে, ঘোষণাই কানে শুনেই দৌড়তে হয়। ফলে ট্রেনের বোর্ড দেখার সময় থাকে না। রেল এই সামান্য দায়িত্বটুকু মানে না।
  • Link to this news (প্রতিদিন)