• উত্তরবঙ্গে বন্যার আশঙ্কা, পর্যটকদের সাবধানবাণী মুখ্যমন্ত্রীর
    এই সময় | ০৮ জুলাই ২০২৪
  • উত্তরবঙ্গে নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। ফুঁসছে তিস্তা। সোমবার বিকেলে উত্তরবঙ্গের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বর্ষার সময় পাহাড়ে অ্যাডভেঞ্চার না করার বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করেন।এদিন নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি। সিকিমের রাস্তায় ধস নেমেছে। এই মুহূর্তে পাহাড়ে অ্যাডভেঞ্চার না করাই ভালো। কারণ এই সময় কালিম্পঙে ধস নামে। তিস্তায় ভরা জল। এগুলো মাথায় রাখতে হবে। এটা প্রকৃতির বৈচিত্র্য।' এদিন উত্তরবঙ্গে বন্যার আশঙ্কা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন দফতর এবং জেলাগুলি থেকে জেলাশাসক- পুলিশ সুপারদের থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। সেচ দফতর প্রতিবছর একটা মনিটারিং পদ্ধতি তৈরি করে। এই বছরও তা করা হয়েছে।'

    ফরাক্কা চুক্তির নবীকরণ প্রসঙ্গে এদিন ফের কেন্দ্রকে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'ওরা বলছে আমাদের না জানিয়ে ফরাক্কা চুক্তি পুনর্নবীকরণ করবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যখন আলোচনা হল আমাদের জানাল না। এটা দুর্ভাগ্যজনক।' পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'প্রয়োজন পড়লে সেচ দফতরের শিফটিং ডিউটি দেওয়া হবে। ছুটিও বাতিল করা হতে পারে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নেমেছে। পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে পিডব্লিউডি।' পাশাপাশি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ডিভিসির জলাধারে ২ লাখ মেট্রিকটন কিউসেক জল থাকতে পারে। কিন্তু, ওরা ড্রেজিং করছে না। মালদায় ভাঙন নিয়ে সমস্যা হয়।'

    এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, 'বলছে তিস্তার জলও দিয়ে দেবে। জল আছে যে দেবে! তাহলে তো উত্তরবঙ্গের লোকজন খাবার জলও পাবে না। আত্রেয়ী নদীতে বাঁধ দেওয়ার সময় আমাদের জানানো হয়নি। ফলে সেখানে অনেক মানুষ পানীয় জল পাচ্ছেন না।' জলপাইগুড়ি, মাল ক্ষতিগ্রস্ত বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'প্রশাসন ৯টি ত্রাণ কেন্দ্র তৈরি করেছে। আত্রেয়ী নদীতে বাঁধ দেওয়ার সময়ও আমাদের জানানো হয়নি। ফলে জলসংকট তৈরি হয়েছে।' পাশাপাশি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরামর্শ দেন, 'বর্ষায় বিদ্যুতের তারে কেউ হাত দেবেন না। বাজ পড়লে কিছুক্ষণের জন্য টিভি বন্ধ করে দেবেন।'

    এদিন কৃষকদের সচেতন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গের সার্বিক পরিস্থিতির নিরিখে এদিনের সাংবাদিক বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
  • Link to this news (এই সময়)