চোপড়াকাণ্ডে নয়া মোড়, সেলিম-অমিতের বিরুদ্ধে FIR নির্যাতিতা তরুণীর
এই সময় | ০৮ জুলাই ২০২৪
চোপড়া কাণ্ডে নয়া মোড়! নির্যাতনের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনার জন্য এবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং বিজেপির মুখপাত্র অমিত মালব্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন নির্যাতিত তরুণী। তাঁর অনুমিত ব্যতীত ওই ভিডিয়ো সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।গত ৩০ জন প্রকাশ্যে আসে একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল)। সেই ভিডিয়োতে দেখা যায়, রাস্তায় ফেলে এক যুগলকে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে। রাস্তায় অগণিত লোক সেটি দাঁড়িয়ে দেখছেন। স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতা তাজিমুল হোসেন ওরফে জেসিবিকে ওই ভিডিয়োতে মারধর করতে দেখা যায়। যদিও, ঘটনা নিয়ে হইচই পড়তেই জেসিবিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত রবিবার দুপুরে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই ভিডিয়ো শেয়ার করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সেই ভিডিয়ো শেয়ার করে সেলিম সমাজ মাধ্যমে লেখেন, ‘উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের লক্ষীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এর ঘটনা। চোপড়ার বিধায়ক হামিদুর রহমানের আশ্রিত দুষ্কৃতি, একাধিক মার্ডার কেসের আাসামী এলাকার ত্রাস তাজেমুল ওরফে জেসিবি ভুয়ো বিচারসভা ডেকে কীভাবে মহিলাকে মারধর করছে দেখুন।’
মহিলা নির্যাতনের ভিডিয়োটি শেয়ার করতে দেখা যায় বিজেপি মুখপাত্র অমিত মালব্যকেও। সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়তেই গোটা রাজ্যে জুড়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। যদিও, ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কড়া পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। জেসিবি ছাড়াও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আব্দুল রউফ ও তাহেরুল ইসলাম নামে আরও দুজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে, বিষয়টি নিয়ে সেলিম বলেন, ‘আমার উপরে হাজারও মিথ্যা মামলা হয়ে আছে। নতুন করে আর কী হবে? অপরাধ জগৎ যখন আসকারা পায়, অপরাধ জগতের লোক যখন বিধায়ক, মন্ত্রী হয়ে যায়, পুলিশ তাঁদের কথায় চলে। তাঁদেরকে দিয়ে এই ধরনের এফআইআর করানো হয়।… পুলিশই তাঁকে দিয়ে এফআইআর করিয়েছে।’ বিষয়টি নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদের রাজ্যে তালিবানি শাসন চলছে। তাই অমিত মালব্যর বিরুদ্ধে এফআইআর তো হবেই। এতে আমরা একটুও অবাক হচ্ছি না। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীরই বিবৃতি এখনও পাওয়া যায়নি।’
প্রসঙ্গত, আক্রান্ত ওই তরুণ-তরুণী উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার লক্ষ্মীপুর গ্রামের দীঘলগাঁও এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। তাঁদের সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই ডাকা হয় সালিশি সভা। তাতে মুখ্য ভূমিকা ছিল জেসিবির। সেখানেই তাঁদের উপর প্রকাশ্যে অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার ওই এলাকায় নির্যাতিতার বাড়ির আশেপাশের সিসিটিভি বসানো হয়। পুলিশের পিকেটিং চলছে।