• রাস্তার লাইট কিছুক্ষণ অফ করতে হবে, পরামর্শ মমতার, উত্তরে বন্যা, পর্যটকরা সাবধান!
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ জুলাই ২০২৪
  • উত্তরের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত জানালেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। 

    তিনি বলেন, 'বাংলায় বর্ষা একটু বেশি হয়। উত্তরবঙ্গ বন্যায় ভাসছে। যা রিপোর্ট দেখছি। সিকিমের রাস্তায় ধস নেমেছে। পর্যটকরা যাতে ফিরে আসতে পারেন সেটা দেখে নাও। তবে খুব বর্ষায় যাতে পাহাড়ের দিকটা অ্যাডভেঞ্চারাস হিসাবে ব্যবহার না করে সেটা দেখে নাও। তার কারণ কালিম্পংয়ে ধস নামে। সরু রাস্তা। তার উপর তিস্তা। এটা মাথায় রাখতে হবে। গরমকালে তিস্তায় জল নেই। উত্তরবঙ্গের যে রিপোর্ট পেয়েছি, মনিটরিং সিস্টেম চালু করতে হবে। রাতের অন্ধকারে এমন পরিস্থিতি হয়ে গেল…একটি নম্বর দিয়ে দেবেন। ধস যেখানে হয় সেটা দেখতে হবে। গঙ্গা ভাঙন কেন্দ্রীয় সরকার ১০ বছর ধরে দেখছে না। ফরাক্কার ড্রেজিং করছে না। ভাঙনে গঙ্গায় বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে। আমাদের না জানিয়ে বলছে ফরাক্কা চুক্তি রিনিউ করবে। কিন্তু আলোচনার সময় আমাদের জানানো হল না। তিস্তার জল দেবে বলছে। তিস্তার জল আছে যে দেবে? উত্তরবঙ্গ তো খাবার জল পাবে না। সিকিম ১৪টি হাইডেল প্রজেক্ট করল। সব জল টেনে নিল।' জলপাইগুড়িতে করলা নদীর সংস্কারে কাজ করেছে সরকার তা নিয়ে জানিয়েছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। 

    মমতা বলেন, ‘ওপরটা দেখতে উঁচু মাঝখানটা নীচু। ওপর থেকে জল আসছে। …’হরপা বানে কী করা দরকার তা নিয়েও মুখ্য়মন্ত্রী পরামর্শ দেন। সেনা সহ অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার ব্যাপারে বলা হয়েছে। মমতা বলেন, ‘এরপর তো বান আসবে। পুজোর আগে যে বান হয়।’ 

    আত্রেয়ী নদীর উপর বাংলাদেশের দিকে থাকা বাঁধ নিয়ে তীব্র আপত্তি জানালেন মমতা। মমতা বলেন, ‘বিদ্যুতের তারগুলো অনেক সময় কারেন্ট হয়ে থাকে। টিভিটা অফ করে রাখবেন। রাস্তার লাইটগুলি কিছুক্ষণ অফ করে রাখবেন। যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে।  এটা ক্যাজুয়াল ভাবে নেবেন না। সিরিয়াসলি নেবেন। যারা জানে না তাদের জানাতে হবে।’ 

    মমতা বলেন, ‘কোচবিহার তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ত্রাণ শিবিরে অনেকে রয়েছেন। হেরিটেজ টাউন করেছি কোচবিহারকে। মোটা টাকা দিয়েছে। রাস্তাগুলি উঁচু করতে হবে। আমরা ২৪ ঘণ্টা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম করছি। তেমনি জেলাগুলিতেও ২৪ ঘণ্টা একটা সিস্টেম করুন। যাতে কোনও জায়গায় কিছু হলে আপনারা ব্যবস্থা করবেন। তিন-চারটে নম্বর রাখবেন।   বাইরে যাওয়ার ছুটি ও অন্যান্য ছুটি বাতিল করা হল। সব ছুটি বাতিল করা হল। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নেমেছে। কালিম্পংয়ের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। দার্জিলিংয়ের পরিস্থিতি এখনও নর্মাল। ’

    ‘উত্তর দিনাজপুরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। দক্ষিণ দিনাজপুরের পরিস্থিতি এখনও নর্মাল। তবে পুনর্ভবা নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। প্রয়োজনে পাবলিককে সরিয়ে আনতে হবে। ডিভিসি যখন তখন জল ছেড়ে দেয়। আগে না জানিয়ে ছেড়ে দিত। আমাদের খানাকুল, উদয়নারায়নপুর আরামবাগ ভাসে। ডিভিসি কতটা জল ছাড়বে তা আমাকে জানাতে হবে। আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে তারপর করতে হবে। ’

    ‘এটা বর্ষা সবে নেমেছে। সেচ দফতরকে বলব। ডিভিসির সঙ্গে আলোচনা বসুন। ’

    মালদায় বন্যাজনিত সমস্যা সেভাবে নেই। রতুয়ায় ভাঙন হয়েছে। সুতি, ধুলিয়ান প্রতিবছরই ভাঙন হয়। আমি আগাম বলে দিচ্ছি। ফরাক্কার জন্য হয়। প্রকৃতির উপর আমাদের হাত নেই। হাওড়াতে কত আগে টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও কেন সমস্যা মিটল না? তিনি ফিরহাদ হাকিমকে প্রশ্ন করেন। 

    ফিরহাদ কার্যত অধিকাংশ দায় রেলের উপর চাপিয়ে দেন। এরপর মমতা বলেন, রেলের সঙ্গে কথা বলে নিন। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)