• ‘ছোটোরা খুব খুশি, তাই আমিও…’, হুগলির স্কুলকে নতুন 'উপহার' রচনার
    এই সময় | ০৯ জুলাই ২০২৪
  • স্কুলে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চললেও ছিল না বিজ্ঞান বিভাগ। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা চালু করার জন্য প্রয়োজন ছিল উপযুক্ত ল্যাবরেটরির। সেই সুবিধা না থাকায় মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন স্কুলের অনেক পড়ুয়ারাই। হুগলির সেই স্কুলেই এবার ল্যাবেরটরির উদ্বোধন করা হল সোমবার। উদ্বোধন হল ওই কেন্দ্রের নবনির্বাচিত সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে।হুগলির দাদপুরের হারিট হাই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের উদ্বোধন হলো আজ। উদ্বোধন করেন হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, উপস্থিত ছিলেন সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জনধারা, পোলবা দাদপুর ব্লকের বিডিও জগদীশ চন্দ্র বাড়ুই ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ, স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকরা। হারিট হাই স্কুলে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে এতদিন বিজ্ঞান পড়ানোর কোনও ব্যবস্থা ছিল না। যার জন্য সমস্যায় পড়তেন ছাত্র-ছাত্রীরা। সেই সমস্যার সমাধান হল সোমবার।

    আজ এই বিভাগের উদ্বোধন করার পরে সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজ্ঞান বিভাগ চালু হল সেই জন্য এসেছি। সবসময় বড়দের অনুষ্ঠানে যাই বাচ্চাদের অনুষ্ঠানে আসার ইচ্ছা ছিল, তাই এসেছি। ছোটোরা খুব খুশি আমিও খুব খুশি। সবাই ভীষণ আনন্দ পেয়েছে আমি এখানে আসাতে।’ নিজের কেন্দ্রের এরকম উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে কতোটা সময় দেবেন? সাংসদ বলেন, ‘ আমি সবে এসেছি, আমাকে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে আমারও কাজ করার ইচ্ছে আছে, পড়ুয়াদের উন্নতির জন্য যা যা করার সেটা করব।’

    স্থানীয় বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত জানান, এই বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবরেটরির জন্য বিধায়ক তহবিল থেকে ৩ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে। পরের বছর আরও পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার কথাও তিনি জানান। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার পাল বলেন, ‘আমাদের স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগ না থাকার জন্য একাদশে অনেকেই ভর্তি হতো না তারা অন্য স্কুলে চলে যেত। সেটা ছিল আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখের। আজ বিজ্ঞান বিভাগ চালু হলো তাই আমরা সকলেই খুশি।’

    স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য স্থানীয় বিধায়ক সাংসদ সভাধিপতি সকলকেই আবেদন জানানো হয়েছে বলে দাবি প্রধান শিক্ষকের। বিষয়টি নিয়ে খুশি স্কুলের পড়ুয়ারাও। স্কুলের দশম শ্রেণির এক পড়ুয়া বলেন, ‘আমরা খুশি মাধ্যমিকের পর ফের আমরা এই স্কুলে পড়তে পারব। কেননা, ল্যাবরেটরি হওয়ার জন্য বিজ্ঞান বিভাগ চালু হয়েছে। আমাদের আর অন্য স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করতে হবে না।’ খুশি পড়ুয়াদের অভিবাভকরাও।
  • Link to this news (এই সময়)