পর্যটকদের জন্য দুঃসংবাদ! টানা বন্ধ শিলিগুড়ি-দার্জিলিং রুটে টয় ট্রেন
এই সময় | ০৯ জুলাই ২০২৪
পর্যটকদের জন্য দুঃসংবাদ। আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকছে টয় ট্রেন পরিষেবা। লাগাতার বর্ষণের কারণে ধস নেমেছে একাধিক জায়গায়। যে কারণে যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আপাতত টয় ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা ভাবা হয়েছে।রবিবার পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দেবব্রত ঠাকুর সহ একটি টিম রাস্তার অবস্থা খতিয়ে দেখেন। তিনধারিয়া- গয়াবাড়ি-মহানদী এলাকায় জাতীয় সড়কের অবস্থা পরিদর্শন করেন তাঁরা। জেলাশাসকের দফতর থেকে নোটিশে বলা হয়েছে, শিলিগুড়ি থেকে ১১০ নম্বর জাতীয় সড়ক সমস্ত রকম যানবাহনের জন্য আপাতত বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র মধ্যবর্তী এলাকার বাসিন্দা যাঁরা সুকনা থেকে তিনধারিয়া এলাকায় ও কার্শিয়াংয়ের দিকে মহানদী এলাকায় থাকেন, সেই বাসিন্দাদের একমাত্র অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
রাস্তা বন্ধের পাশাপাশি দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (Darjeeling Himalayan Railway) কর্তৃপক্ষকেও টয় ট্রেন যাওয়ার লাইনের পরিস্থিতি দেখে একটি রিপোর্ট দেওয়া হবে। ততদিন টয়ট্রেন চলাচলও সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।
বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলায় লাগাতার বৃষ্টিপাত চলছে। লাগাতার বর্ষণের কারণে দার্জিলিংগামী বেশ কিছু রাস্তাতে ছোট ছোট ধস নেমেছে। একাধিক জায়গায় পাহাড়ের ঢাল দিয়ে কাদার স্রোত নেমে আসছে। এমত অবস্থায় টয় ট্রেন চালানো অনেকটাই মুশকিল হয়ে যাবে। যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই তাই আপাতত টয় ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
এমনিতেই, দার্জিলিং থেকে সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বৃষ্টি ও ধসের কারণে। সিকিমগামী গাড়িগুলিকে লাভা, গোরুবাথান হয়ে ঘুরপথে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসে পর্যটকদের সংখ্যা অনেকটাই কম থাকে বৃষ্টির কারণে। এর মধ্যে জাতীয় সড়ক দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার কারণে এক ধাক্কায় অনেকটাই পর্যটক সংখ্যা কমে গিয়েছে বলেই জানাচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
তবে, দার্জিলিঙের অন্যতম আকর্ষণীয় বিষয় হল এই টয় ট্রেন। শিলিগুড়ি অনেক পর্যটক টয় ট্রেনে চেপেই প্রাকৃতিক শোভার আনন্দ নিতে নিতে দার্জিলিং যান। তবে, আপাতত কয়েকটা দিন সেই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন পর্যটকরা। স্বাভাবিকভাবেই, টয় ট্রেন বন্ধ থাকার বিষয়টি পর্যটনের উপরেও প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে, আগামী ১১ জুলাইয়ের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় টয় ট্রেন চালু করা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।