ঘটনার সূত্রপাত কিছুদিন আগে। বাড়ি থেকে পালিয়ে যান বিশ্বভারতীর এক পড়ুয়া। গত ২৮ জুন মেয়েটি বাড়ি ফিরতে আপত্তি জানান। আদালত ইলামবাজার থানাকে নির্দেশ দেয় যে কোনওভাবে যেন মেয়েটির ক্ষতি না হয়, সেটা দেখতে হবে থানাকে। মেয়েটি কোনও সমস্যায় পড়লে থানাকে জানাবে।
সোমবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল মেয়েটির। আদালতের আগের নির্দেশ মতো এদিন মেয়েটিকে হাজির করা হয় এজলাসে। কারণ মেয়ের বাবা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে, অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁর মেয়েকে অপহরণ করে আটকে রাখা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না।
সোমবার শুরুতেই সরকারি কৌশলী সুমন সেনগুপ্ত আদালতে জানান, মেয়ে বাবার বাড়িতে ফিরতে চায় না। কারণ বাড়ি ফিরলে বাবা তাঁকে খুন করে ফেলবে বলে তাঁর আশঙ্কা। কারণ এরমধ্যেই তাঁর প্রেমিকের বাড়ি গিয়ে কার্যত হামলা করে তাঁর বাবা এবং অন্যরা। তাঁকে নৃশংসভাবে মারধর করা হয়। একেবারে সবার সামনে তাঁকে বিবস্ত্র করে দেওয়ার পরিস্থিতি হলেও তাঁর বাবা মা অত্যাচার থামায়নি। মেয়ের আবেদন, তাঁর বাবা মা যাতে কোনওভাবে ওই বাড়ি গিয়ে তাঁর উপর অত্যাচার করতে না পারে সেই নির্দেশ দিক আদালত। যদিও আদালত পুলিসকে নির্দেশ দিয়েই মামলার নিষ্পত্তি করে দিয়েছে।