• 'আমাদের কিছুই জানায়নি', CESC-র মাসুল বৃদ্ধি নিয়ে সরব মমতা...
    ২৪ ঘন্টা | ০৯ জুলাই ২০২৪
  • সুতপা সেন: অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে CESC-র বিল। বিদ্যুৎ মাসুল বৃদ্ধির প্রতিবাদও হয়েছে দফায় দফায়। রাজ্য সরকারের রেগুলেটরি বডি যাতে এই বাড়তি বিল অবিলম্বে প্রত্যাহার করে সেই দাবিও তুলেছে বিরোধী শিবির। অভিযোগ, চুপিসারে কলকাতায় বিদ্যুতের বিল বাড়াচ্ছে সিইএসসি। এদিন সিইএসসি-র বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'শুনলাম সিইএসসি ক'পয়সা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের কিছুই জানায়নি। বিদ্যুৎ দফতরকেও কিছু জানায়নি‌। যাইহোক আমাদের WBSEDCL এক পয়সাও দাম বাড়ায়নি।'

    সোমবার উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'উত্তরবঙ্গের দিকে আমাদের একটু বিশেষ করে নজর রাখতে হবে। অক্টোবর পর্যন্ত মনিটরিং করতে হবে। এটা প্রতিবছরই হয়, এবার আবার চালু করতে হবে।

    উত্তরবঙ্গে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং-এর অবস্থা এখন ঠিক আছে। মালদায় ভাঙ্গন হয়েছে। এটা তো কেন্দ্রের দেখার কথা। বিগত ১০ বছর ধরে ওরা এটা দেখছেই না। গঙ্গার ভাঙ্গনের জন্য এক টাকাও খরচ করে নি কেন্দ্র। গঙ্গার ভাঙন ঠেকাতে ড্রেজিং ও করেনি কেন্দ্র। আবার তো শুনছি বাংলাদেশ এর সঙ্গে ফারাক্কা নিয়ে চুক্তি নবীকরণ করা হলো, আমাদের সঙ্গে কথা না বলেই। আবার তিস্তার জল দিয়ে দেবে। তিস্তায় কি জল আছে যে দেবে ? উত্তরবঙ্গের একটা লোকও খাওয়ার জল পাবে না।'

    মমতার কথায়, জলপাইগুড়িতে ৯ টা ফ্লাড সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। আত্রেয়ী নদীর উপর বাঁধ তৈরির সময় আমাদের জানানো হয়নি। জলপাইগুড়ির মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান ও ডিএমকে বিশেষ করে বলব, সবাইকে কেয়ারফুলি দেখতে হবে। এমার্জেন্সির মতো অবস্থা হলে সব ছুটি বাতিল করা হবে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নেমেছে। জাতীয় সড়কের সারানোর কথা। পূর্ত দফতরকে বলব, তোমরা মনিটরিং করবে, কিন্তু টাকা খরচ করবে না। ওই রাস্তাটা সেনাবাহিনীও ব্যবহার করে। ওটা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষেরই সারানো উচিৎ। 

    মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ডিভিসি আগে আমাদের না জানিয়ে জল ছাড়ত। এখন তো আমরা বলে দিয়েছি আমাদের না জানিয়ে জল ছাড়বে না। ডিভিসি কতটা জল ছাড়বে, কি ছাড়বে আমাকে প্রতিদিন জানাতে হবে। আমাদের জানানোর পর আমরা সব দেখে তারপর অনুমতি দেব। সমস্যা হয় ওরা একদিন‌ও ড্রেজিং করে না। দুই লক্ষ কিউসেক জল এখন‌ও ওদের জলাধারে থাকতে পারে।‌ কিন্তু ওরা ড্রেজিং করে না। ফলে জল ছেড়ে দেয় আর আমাদের ভুগতে হয়। সেচ দফতরকে বলব, ওদের সঙ্গে কথা বলুন। দ্রুত জল নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করো। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকতে বলব, হাওড়ার জন্য তো দুই বছর আগেই টাকা দিয়েছি তাহলে ওখানে এখনও কেন পুরনো ড্রেনেজ ! 

    মমতা দাবি, আমি সরকারি কাজে পলিটিক্স করি না‌। কিন্তু রেল তো করে। ওদের সব স্টেশন তো গেরুয়া করে দিয়েছে। উত্তরবঙ্গের মানুষের পাশে সরকার সবসময় আছে। সবাই সাবধানে থাকবেন। চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে যে মারা যায় এর কয়েকটা ব্ল্যাক স্পট আছে। উলুবেড়িয়ায় এরকম একটা স্পট আছে। অ্যাক্সিডেন্ট সবচেয়ে বেশি ঘটে বর্ষাকালে আর রাতের দিকে যখন কুয়াশা খুব পড়ে। আমাদের ওখানে একটা ট্রাম লাইন আছে। ট্রাম চলে না দীর্ঘদিন‌। প্রায় সাত আট জন মারা যায় প্রতি বছর। ট্রাম যখন চলেই না, পরিবহন দফতর ঠিকভাবে কাজ করে নি। আমাকে কোর্টের রায় দেখাচ্ছো, যখন মানুষ মরে যাচ্ছে ? নলেজে পড়েছে বলেই তো বলছি। এটাকে ইমিডিয়েট টেক কেয়ার করে শর্টেড আউট। 

    পরিবহণ দফতরকে একহাত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, পরিবহণ দফতর সিরিয়াসলি দেখছে না কিছু। আপনাদের গাড়ি ছেড়ে সাইকেল বা ১১ নম্বর চালানো উচিত। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)