কী ব্যবস্থা দুই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে? নবান্নের কাছে জানতে চাইলেন রাজ্যপাল
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ জুলাই ২০২৪
এবার আরও কড়া হচ্ছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নালিশ করেছিলেন তিনি। এরপর কলকাতা পুলিশ কমিশনার সহ অপর এক পদস্থ পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এদিকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবার জানতে চাইলেন কলকাতা পুলিশের যে দুই আধিকারিকের কথা বলা হয়েছিল তাঁদের বিরুদ্ধে ঠিক কী ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার সেটা জানাতে হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজভবনের এক্স হ্যান্ডেলে একটা পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, সংবিধানের ১৬৭ নম্বর ধারা মোতাবেক রাজ্যপালকে দেওয়া ক্ষমতার ভিত্তিতে রাজ্যের মাননীয় মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে রাজ্যপাল দুটি রিপোর্ট চেয়েছেন।
প্রথমত জানতে চাওয়া হয়েছে মুখ্য়মন্ত্রী কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে কি না কলকাতা পুলিশ কমিশনার ও ডিসি সেন্ট্রাল এর বিরুদ্ধে রাজভবনের তরফে যে রিপোর্ট ভারত সরকার ও রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছিল তার ভিত্তিতে। দ্বিতীয়ত এক মহিলাকে প্রকাশ্যে মারধর ও সালিশি সভায় যুগলকে মারধরের যে ঘটনায় পুলিশ তেমন কোনও পদক্ষেপ করেনি সেই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত কি না…
মূলত একাধিক ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কাছে এবার জানতে চাইলেন রাজ্যপাল।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দফতরকে কালিমালিপ্ত করার অভিযোগে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং এক ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
পিটিআই রিপোর্ট মোতাবেক জানা গিয়েছিল, কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং ডিসিপি ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রিপোর্ট জমা দিয়ে রাজ্যপাল অভিযোগ করেছেন, তাঁরা এমনভাবে কাজ করছেন, যা একজন সরকারি কর্মীর পক্ষে একেবারেই শোভনীয় নয়।
গত মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে জমা দেওয়া রিপোর্টে রাজ্যপাল অভিযোগ করেন, তিনি প্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়া সত্ত্বেও ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছেন না কলকাতা পুলিশ আধিকারিকরা।
বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের জমা দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে আইপিএস অফিসারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
চিঠির প্রতিলিপি ৪ জুলাই রাজ্য সরকারকে পাঠানো হয়েছে।
২০২৪ সালের এপ্রিল-মে মাসে রাজভবনে কর্মরত অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এক মহিলা কর্মীর মনগড়া অভিযোগ প্রচার ও উৎসাহিত করার অভিযোগও তুলেছেন রাজ্যপাল।
‘এই আইপিএস অফিসাররা তাদের কাজের মাধ্যমে কেবল রাজ্যপালের পদকেই কলঙ্কিত করেননি, এমনভাবে কাজ করেছেন যা একজন সরকারী কর্মচারীর পক্ষে সম্পূর্ণ শোভনীয় নয়। তারা সুবিধামতো আচরণবিধি উপেক্ষা করার পথ বেছে নিয়েছে।’ জানিয়েছেন তিনি।