সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: মালদহের রতুয়া-১ ব্লকের সামসি গ্রামীণ হাসপাতালে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে রোগীর সংখ্যা। কিন্তু পরিষেবার মানোন্নয়ন হয়নি বলে অভিযোগ। পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অভাবে উন্নত পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নিয়োগের দাবি জানান।
রতুয়া-১ বিএমওএইচ ডাঃ রাকেশ কুমার বলেন, পর্যাপ্ত চিকিৎসক থাকলে হাসপাতাল পরিচালনা করতে সুবিধা হয়। উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য আরও চিকিৎসক প্রয়োজন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি, এই সমস্যার সমাধান হবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে হাসপাতালে ৫০টি শয্যা রয়েছে। এর আগে ৩০টি শয্যা ছিল। একটি গ্রামীণ হাসপাতালে ন্যূনতম ৬ জন চিকিত্সক থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে রয়েছে তার অর্ধেক। মাত্র তিনজন চিকিৎসক দিয়ে একটি গ্রামীণ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। ডাক্তারদের চিকিৎসা পরিষেবার বাইরেও অনেক অফিশিয়াল কাজ করতে হয়। ফলে আরও চিকিৎসক থাকলে রোগীরা ভালো চিকিৎসা পরিষেবা পেতে পারেন। বর্তমানে ৭জন নার্স রয়েছেন। চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ৮ জন। সাফাইকর্মীরও প্রয়োজন আছে।
পাশাপাশি ডাক্তার, নার্সদের কোয়ার্টারের অবস্থা খুবই খারাপ বলে অভিযোগ। ছাদের পলেস্তরা মাঝেমধ্যেই খসে পড়ে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থা। কোয়ার্টারগুলির সংস্কারের অভাবে থাকার অনুপযোগী হয়ে রয়েছে। কোয়ার্টারগুলি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানানো হয়েছে হাসপাতালের পক্ষ থেকে।
এই হাসপাতালের অধীনে ৯টি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র। কেন্দ্রগুলিতে ভালো পরিষেবা না মেলায় উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার জন্য এলাকার বাসিন্দারা এই হাসপাতালে ছুটে আসেন। ব্লকের সামসি, চাঁদমণি-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে সঙ্গে পাশের চাঁচল-২ ব্লকের কয়েকটি অঞ্চলের বাসিন্দাদেরও চিকিৎসা পরিষেবার জন্য এই হাসপাতালের উপর নির্ভর করতে হয়। ফলে এই হাসপাতালে রোগীর চাপ থাকে অনেক বেশি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন চিকিৎসা পরিষেবার জন্য এলাকার বহু মানুষ হাসপাতালে আসেন। কিন্তু মাত্র তিনজন ডাক্তার দিয়ে হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়।