প্রসঙ্গত, আগেই দিল্লির পাঁচতারা হোটেলে নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে নবান্নে জমা পড়েছে 'বিস্ফোরক' রিপোর্ট। কলকাতা পুলিসের তরফে এই রিপোর্ট জমা পড়ে। জানা যায়, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন এক নৃত্যশিল্পী। তাঁর অভিযোগ, ২০২৩-এর ৫ ও ৬ জুন একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যান রাজ্যপাল। সেখানে তাঁকে একটি পাঁচতারা হোটেল রাখা হয়। রাজ্যপালের বেঙ্গালুরুর এক আত্মীয় সেই হোটেলের রুম বুক করেন। সেই হোটেলেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন ওই নৃত্যশিল্পী।
নৃত্যশিল্পীর ওই অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু করেন ডিসি পদপর্যদার এক অফিসারের নেতৃত্বে কলকাতা পুলিসের একটি টিম। সেই 'ধর্ষণ'-এর অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানের রিপোর্ট-ই জমা পড়ে নবান্নে। একদিকে রাজভবনের ভিতরই এক মহিলা কর্মীর 'শ্লীলতাহানি' নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এই ঘটনা সামনে আসে। এই ঘটনাকে হাতিয়ার করেন শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা নির্যাতিতাও। দুটি ঘটনা নিয়ে একযোগে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শাণান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সরাসরি রাজ্যপালের পদ থেকে সি ভি আনন্দ বোসের পদত্যাগ দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।