'১০ দিনের মধ্যে দাম কমাতে হবে', বাজারে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ মমতার
এই সময় | ০৯ জুলাই ২০২৪
শাক-সবজি সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিতে পকেটে টান মধ্যবিত্তের। এই পরিস্থিতিতে ১০ দিনের মধ্যে দাম কমানোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নে মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ নির্দেশ দেন, '১০ দিনের মধ্যে দাম কমাতে হবে। কী করে কমাবেন, সেটা আপনাদের ব্যাপার। আমি সবাইকে দায়িত্ব দিচ্ছি। টাস্ক ফোর্সকে দায়িত্ব দিচ্ছি বিষয়টি দেখার জন্য।'এদিন টাস্ক ফোর্সের কাজ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'মজুতদারি ও ফড়েদের বাড়বাড়ন্ত রুখতে একটা টাস্ক ফোর্স তৈরি করে দিয়েছিলাম। টাস্ক ফোর্সের কাজ ছিল বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণ করা। তারা এখন কী করছে? তারা কি নিয়মিতভাবে টাস্ক ফোর্সের বৈঠক করছে? নাকি নির্বাচনের সময় ৩ মাস সব ঘুমিয়ে ছিল? একটা নির্বাচন আসা মানে উন্নয়নের বারোটা বাজিয়ে দেওয়া, মানুষের ওপর চাপ দেওয়া। কেউ কোনও কিছু দেখে না। আমি এখন থেকে নির্দেশ দিচ্ছি, ৭ দিন পরপর এই বৈঠক করতে হবে। সেখানে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও অর্থসচিবকেও যুক্ত করে দিলাম। ' নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম কতোটা কমল, তা প্রতি সপ্তাহে তাঁকে রিপোর্ট দিয়ে জানানোর নির্দেশও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নাসিকের পেঁয়াজের উপরে এখনও কেন ভরসা করা হচ্ছে, সেই প্রশ্নও এদিন তুলতে দেখা দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, 'নাসিকের পেঁয়াজের উপরে ভরসা না করে, আমরা কেন চাষিদের থেকে আরও বেশি করে কিনছি না? তাহলে চাষিরা দামটা পায়। চাষিরা দামটা পাচ্ছে না। নাসিক থেকে কিনলে কি আপনারা কমিশন পান?' রাজ্যের চাষিরা যে পেঁয়াজ উৎপাদন করছেন, তা না কিনে কেন নাসিকের পেঁয়াজ কেনা হচ্ছে, সরাসরি এদিন সেই প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে সুখ সাগর ভ্যারাইটির পেঁয়াজের কথাও উল্লেখ করেন মমতা। তিনি জানান প্রথমে এটি বাঁকুড়ায় চালু হয়েছিল। পরে তা মুর্শিদাবাদ সহ আরও কিছু জেলায় চালু হয়েছে।
অন্যদিকে আলুর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মমতা জানান, বর্তমানে এখনও ৪৫ লাখ মেট্রিক টন আলু হিমঘরে পড়ে রয়েছে। নতুন আলু ফের উঠবে নভেম্বর-ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে। এক্ষেত্রে মমতার প্রশ্ন, 'প্রায় ৬০ লাখ মেট্রিক টন আলু ছিল। সেখান থেকে বেরিয়েছে মাত্র ১৫ লাখ মেট্রিক টন, কেন এখনও ৪৫ লাখ মেট্রিক টন আলু পড়ে রয়েছে?' ২৫ শতাংশ রেখে দিয়ে বাকি আলু হিমঘর থেকে বের করা নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন দেখার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর কত তাড়াতাড়ি স্বস্তি ফেলে মধ্যবিত্তের হেঁশেলে।