ফোনে অন্তর্ঘাতের প্রস্তাব, কল্যাণকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি কুণালের
এই সময় | ০৯ জুলাই ২০২৪
রাত পোহালেই মানিকতলা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার আগেই বিস্ফোরক একটি অডিয়ো ক্লিপ (সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল) প্রকাশ্যে আনলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। ওই অডিয়ো ক্লিপে তাঁকে ‘অন্তর্ঘাত’-এর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবের তরফে। এমনটাই দাবি করেন কুণাল ঘোষ। যদিও, উপনির্বাচনে ‘সহায়তা’ করার কোনও প্রস্তাব কুণালকে দেওয়া হয়নি বলে পালটা দাবি করেছেন কল্যাণ।ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগেই নতুন বিতর্ক শুরু মানিকতলা কেন্দ্র নিয়ে। মানিকতলা উপনির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য তথা তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকে ফোন করে ‘অন্তর্ঘাত’ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এমনকি, এর বিনিময়ে তাঁকে রাজ্য বা জাতীয় ক্ষেত্রে ‘লোভনীয়’ পদ পাইয়ে দেওয়া হবে বলেও টোপ দেওয়া হয়েছে। এমনই কিছু কথোপকথন শোনা গিয়েছে সেই অডিয়ো ক্লিপে (যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল)। সেই অডিয়ো ক্লিপে যাঁর গলার স্বর শোনা গিয়েছে, তিনি বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে বলে দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ।
কুণালের দাবি, বিজেপির নিশ্চিত পরাজয় বুঝে অনৈতিকভাবে 'ঘুষ' দেওয়ার কথা বলছেন কল্যাণ চৌবে। কুণাল দাবি করেছেন, গত ৭ জুলাই রবিবার রাত সাড়ে এগারোটার সময় তাঁকে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে ফোন করেন। কুণাল বলেন, ‘এ কথা সে কথা বলার পর কল্যাণ চৌবে তো এআইএফএফ-এর সভাপতি, তিনি আমায় বলছেন আমি যদি তাঁকে সাহায্য করি তিনি আমায় রাজ্য বা জাতীয় স্তরে খেলার জগৎ-এ বড় পদ দেবেন।’
বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে অবশ্য এই ফোনে কথোপকথনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কুণালের সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। প্রার্থী হিসেবে সবার কাছেই সমর্থন চেয়েছি। তবে কোনও ঘুষ দেওয়ার বিষয় নয়। ওঁর সঙ্গে অনেক দিনের সম্পর্ক। এটা সৌজন্যের ফোন। উনি পুরো কথোপকথন শেয়ার করেননি। আংশিক করেছেন। ভোটে সহায়তা করার কোনও প্রস্তাব আমি দিইনি। ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।’
যদিও, পালটা কুণাল বলেন, ‘ওঁরা ভেবেছেন আমাকে বড় পদ দিলে দলের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাত করানো যাবে। এটা অত্যন্ত কুরুচিকর, নিম্নমানের, বাজে মানসিকতা। প্রতিপক্ষের কাছে সাহায্য চাওয়া যেতে পারে। কিন্তু তার সঙ্গে ঘুষ দেওয়ার প্রবণতা খুব খারাপ। আমাকে এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার টেলিফোন অ্যাডভাইসারি কমিটির চেয়ারম্যান করতে চেয়েছিল। সেই পদও আমি প্রত্যাখ্যান করেছি।’