• শিশুকন্যার সারা শরীরে গরম চামচের ছ্যাঁকা, মালদার ঘটনায় অভিযুক্ত কাকিমা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ জুলাই ২০২৪
  • নৃশংসতার চরম নজির দেখল বাংলা। বাচ্চাদের খেলাকে কেন্দ্র করেই সেটা ঘটেছে। অমানবিক এই ঘটনায় শিউরে উঠল মানুষজন। এই অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল মালদা শহর। রান্নার চামচ আগুনে গরম করে ৯ বছরের শিশুর গোটা শরীরে ছ্যাঁকা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগ উঠল ওই শিশুটির কাকিমার বিরুদ্ধে। এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের কাছে এই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ জানানো হলেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। উলটে জামিন যোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ওই কাকিমার বিরুদ্ধে।

    এদিকে এই ঘটনার পর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ওই ৯ বছরের শিশুকন্যা। শিশুর পরিবার তার কাকিমার বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। কিন্তু পরিবারের দাবি, ইংরেজবাজার থানার পুলিশ অফিসাররা কোনও পদক্ষেপ করেননি। অভিযুক্ত কাকিমাকে এই ঘটনার পরও আদালতের কঠোর শাস্তির হাত থেকে বাঁচাচ্ছে পুলিশ অফিসাররা। আহত শিশুকন্যার বাবা জানান, চারদিন আগে বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল শিশুটি। সেই খেলা নিয়েই সামান্য গোলমাল হয়। আর এই গোলমালের জেরেই ওই শিশুকে চামচ গরম করে গোটা শরীরে ছ্যাঁকা দেন তার কাকিমা। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।


    অন্যদিকে এই অমানবিক ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্কে ভুগছে গোটা পরিবারের সদস্যরা। গান্ধী পার্ক এলাকায় এখন এটাই চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। অভিযুক্ত কাকিমার গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন গ্রামের অনষান্য মহিলারাও। তাঁদের অভিযোগ, এরকম নৃশংস ঘটনা তারা আগে দেখেননি। তাঁদের ছেলেমেয়েরাও পাড়ায় খেলা করেছে এবং গোলমাল হয়েছে। কখনও এমন চরম পদক্ষেপ কেউ করেননি। বাচ্চাদের খেলায় গোলমাল হওয়া নিয়ে কেউ বাচ্চাকে পুড়িয়ে দেবে সেটা কিছুতেই মানতে পারছেন না গান্ধী পার্কের বাসিন্দারা।

    এরপরেও অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে শুধু জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। আর অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে এলাকায় তুমুল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার বেশিরভাগ বাসিন্দারাও। বিশেষ করে মহিলাদের অভিযোগ, এমন নৃশংস ঘটনা জীবনে তাঁরা আগে দেখেননি। তাঁদের ছেলেমেয়েরাও পাড়ায় খেলা করে। গোলমাল হয়েছে। কিন্তু তারপরও কেউ কাউকে পুড়িয়ে দিয়েছে এমন ঘটনা ঘটেনি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)