মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বিমল গুরুং, হঠাৎ কোন গোপন কথা জানালেন? চর্চা তুঙ্গে
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ জুলাই ২০২৪
এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং। আর সেই চিঠিতে মারাত্মক অভিযোগ উল্লেখ করেছেন তিনি। যা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। জিটিএ’র সরকারি সম্পত্তি বেসরকারি সংস্থার হাতে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিমল গুরুং এবং সেটাই লিখেছেন চিঠিতে। সেই চিঠি পৌঁছেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। চিঠিতে বিমল গুরুংয়ের দাবি, অনৈতিক এবং বেআইনিভাবে জিটিএ’র সরকারি সম্পত্তি লিজ দেওয়া হচ্ছে। আর এই কাজ করছেন জিটিএ পরিচালন সমিতির কিছু নেতা বলে তাঁর অভিযোগ।
এবার লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং কেন্দ্রটি জেতেন বিজেপির রাজু বিস্তা। বিমল গুরং তাঁকেই সমর্থন করেছিলেন। বিজেপি দার্জিলিং আসন জিতলেও গোটা বাংলার মানুষ ভরসা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। তাই ৪২টি আসনের মধ্যে ২৯টি আসন জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন বিমল গুরুং। আর তাতে বিমল লিখেছেন, জিটিএ’র অধীনে বেশ কয়েকটি পর্যটন বাংলো রয়েছে। আর সেই বাংলোগুলি বেসরকারি সংস্থাকে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। তাও অত্যন্ত কম দামে। এই হস্তান্তরের ফলে রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে রাজ্য সরকারের। তাই এই বিষয়ে আপনি নিজে হস্তক্ষেপ করুন।
কিছুদিন আগে হলং বনবাংলো আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। সেটা আবার নতুন করে নির্মাণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি গিয়েছে ভ্রমণ সংস্থার পক্ষ থেকে। এই আবহে সম্প্রতি খবর প্রকাশ্যে আসে যে, জিটিএ’র অধীনে থাকা একটি বাংলো ৫০ লক্ষ টাকায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বিমল গুরুং এই ঘটনার কথাও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে জানিয়েছেন। চিঠিতে বিমল গুরুং অভিযোগ করেছেন, এইসব বাংলো নিয়ম মেনে হস্তান্তর হয়নি। তাই বিষয়টির উপর নজর দেওয়া অত্যন্ত প্রযোজন। ওই বাংলো এখন হোটেল হিসেবে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। সুতরাং প্রত্যেক বছর যে টাকা ভাড়া বাবদ আসবে সেটা জিটিএ’র কোষাগারে ঢুকবে না। এটা আর্থিক দুর্নীতির ইস্যু।
এছাড়া বিমল গুরুং এই অভিযোগ তোলার পাশাপাশি কিছু সংখ্যাও জানিয়েছেন ওই চিঠিতে। বিমল চিঠিতে লিখেছেন, এখনও পর্যন্ত মোট ৯টি বাংলো খুব কম দামে বেসরকারি সংস্থাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য যাচাই করলেই সত্যাসত্য উঠে আসবে। আর এই কাজ নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে হয়নি। কোনও নিলাম না করেই এই বিক্রি করা হয়েছে। যা আইনত অপরাধ। যাঁরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। জিটিএ প্রত্যেকটি টুরিস্ট বাংলো নিঃশব্দে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে বিক্রি করে দিচ্ছে। এমন খবর তাঁর কাছে রয়েছে। তাই তিনি এই চিঠি লিখেছেন।