সমপ্রেমের সম্পর্ক মানেনি পরিবার, বিয়ের ৩ দিন আগে আত্মঘাতী তরুণী
এই সময় | ১০ জুলাই ২০২৪
সমপ্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি পরিবার। অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল। বিয়েতে মতও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিয়ের ঠিক তিন দিন আগেই কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসির খানো গ্রামে। পরিবারে অভিযোগ, ওই তরুণীকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল। আর তার জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গলসি থানা এলাকার অপর এক তরুণীর সঙ্গে তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই তরুণীর। সমপ্রেমের সম্পর্ক হওয়ায় সেই সম্পর্ক মেনে নেয়নি পরিবার। তাঁকে বুঝিয়ে অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করা হয়। তরুণীও বিয়েতে মত দেন। কিন্তু বিয়ের কয়েকদিন আগে ফের ওই তরুণী ফোনে যোগাযোগ করেন। এরপরেই কীটনাশক খান তিনি। বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।
মৃতার মামা জানান, কীটনাশক খাওয়ার পর তাঁর ভাগ্নিকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রেফার করা হয় কলকাতায়। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে তরুণীকে কলকাতা থেকে নিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে ফের বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, 'একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। যদিও পরিবারের তরফে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।' ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।
উল্লেখ্য, কয়েকবছর আগে সমপ্রেম সম্পর্ককে ঘিরে এক ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ ওঠে মালদায়। জানা যায়, সমপ্রেমের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে মানসিক চাপেই আত্মঘাতী হন মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। অন্তত এমনই দাবি করেন মৃতার বান্ধবী। এমনকী নিজের দাবি প্রমাণে ২ জনের ব্যক্তিগত কিছু ছবিও প্রকাশ্যে আনেন তিনি। জানা যায়, ওই ছাত্রীর বান্ধবী বিহারে বাসিন্দা। পড়াশুনোর জন্য মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে থাকতেন তিনি। বেশ কয়েক বছর ধরে তাদের মধ্যে সমপ্রেমের সম্পর্ক ছিল। এমনকী তাঁরা বিয়ে করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু পরিবারের তরফে তাঁদের সেই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। এরপর তিনি এক যুবকের সঙ্গে কলকাতায় পালিয়ে যান এবং দমদম এলাকায় একটি মেয়েদের হস্টেলে থাকতে শুরু করেন। ঠিক ছিল কয়েকদিন পর দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী কলকাতায় যাবেন। কিন্তু তারমধ্যেই থানার দ্বারস্থ হন পলাতক যুবতীর বাবা। পুলিশ দমদম থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার করে। অভিযোগ, সেই ঘটনার পর থেকেই মেয়েকে পালাতে প্ররোচনা দিয়েছে এই অভিযোগ তুলে দ্বাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে মানসিক নির্যাতন করছিলেন যুবতীর বাবা। এরপরেই এই সময় চরম সিদ্ধান্ত নেন ওই ছাত্রী।