ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে নিশ্চিন্ত মনে বাড়ি ফিরছিলেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। নিজের হাতে থাকা ব্যাগে সেই টাকা ছিল। রাস্তায় বের হতেই কিছুক্ষণের মধ্যেই হঠাৎ মোট বাইক আরোহী তাঁর হাত থেকে ব্যাগ ছিনিয়ে চম্পট দেয়। অবসর জীবনের সঞ্চিত অর্থ খুইয়ে বেসামাল হয়ে পড়েন নদিয়ার শান্তিপুরের বাসিন্দা। অবশেষে পুলিশের সহযোগিতায় হাসি ফুটল তাঁর মুখে।এক অধ্যাপকের কাছ থেকে এক লাখ কুড়ি হাজার টাকা ছিনতাই হয়ে যায়। ছিনতাইয়ের ঘটনার পাঁচ দিনের মধ্যে বড় সাফল্য পেল নদিয়ার শান্তিপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৩৫ হাজার ২০০ টাকা। যদিও তাকে আদালতে তোলা হলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপককে থানায় ডেকে তার হাতে টাকা তুলে দিলেন শান্তিপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, গত ৪ তারিখ দুপুরবেলায় নদিয়ার শান্তিপুর ডাকঘর মোড় সংলগ্ন একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলেছিলেন ওই অধ্যাপক। এরপর রাস্তায় বেরোতেই একটি কালো মোটরবাইক নিয়ে দুই যুবক অধ্যাপকের হাত থেকে টাকার ব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপরেই হতাশ হয়ে পড়েন অধ্যাপক অতীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।
এরপরেই শান্তিপুর থানার দারস্থ হয়ে ঘটনা পুলিশকে জানান তিনি। এরপর দ্রুত তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনার পাঁচদিনের মাথায় অভিযুক্ত বকতিয়ার উদ্দিন মণ্ডল কে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা যায়, ধৃতের বাড়ি নদীয়ার চাপরা থানা এলাকায়। আজ ছিনতাই হয়ে যাওয়া টাকার মধ্যে ৩৫ হাজার ২০০ টাকা হাতে পাওয়াতে বেজায় খুশি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক।
অধ্যাপক জানান, ভাবতেই পারেননি তাঁর এই টাকা ফেরত পাবেন। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি যথেষ্ট প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘আমার হাতে অনেক ছাত্র আজ কেউ আইপিএস কেউ আবার আইএস হয়েছে। পুলিশের প্রতি আমার আগাগোড়া সম্মান রয়েছে। তবে, এত তাড়াতাড়ি পুলিশ স্কুল কিনারা খুঁজে বের করবে, সেটা আশা করিনি। তবে খুবই ভালো লাগছে টাকা ফেরত পেয়ে।’ শান্তিপুর থানার পুলিশের কৃতিত্বকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অধ্যাপক। নদিয়া জেলার শান্তিপুর সহ অন্যান্য জায়গাতে মাঝে মধ্যেই ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটছে। পুলিশের তরফে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পেট্রলিং করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।