• আগাছায় ভরা শিশু বিজ্ঞান কেন্দ্রে সাপের উপদ্রব, চুঁচুড়ায় আতঙ্কে দিশেহারা স্থানীয়রা ...
    আজকাল | ১০ জুলাই ২০২৪
  • মিল্টন সেন, হুগলি: চুঁচুড়ার শিশু বিজ্ঞান কেন্দ্র বর্তমানে জঙ্গল, আগাছায় ভরে আছে। সেই আগাছা ছড়িয়েছে আশপাশের একাধিক বাড়িতে। দিনরাত সর্বত্রই সাপের আতঙ্ক। বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়ছে সাপ। ঘুম ছুটেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

    চুঁচুড়া শহরে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুজন বাগান এলাকায় রয়েছে শিশু বিজ্ঞান কেন্দ্র। বাম সরকারের আমলে শহরে বিজ্ঞান চর্চা ও স্কুল-কলেজের সেমিনার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার জন্য এটি তৈরি করা হয়। ২০০০ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু এই বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে গঠিত ট্রাস্ট এই কেন্দ্রটি দেখভাল করত। হুগলি চুঁচুড়া পুরসভা সেই কেন্দ্র অধিগ্রহণ করার চেষ্টা করার পর থেকেই শিশু বিজ্ঞান কেন্দ্র ভবন বন্ধ। পরে রয়েছে অনাদরে। দেওয়াল বেয়ে গাছ উঠেছে আগাছা, বন জঙ্গলে ভরেছে সংলগ্ন এলাকা। বট, অশ্বত্থের ডাল পাশের বাড়িতে ঝু্ঁকে পরেছে। আগাছা উঠে পড়েছে পাশের বাড়ির বারান্দায়। আম গাছের পাতা পরে নষ্ট হচ্ছে বাসিন্দাদের বাড়ির ছাদ।

    ঘন জঙ্গল, ফলে বেড়েছে মশা, মাছি সঙ্গে সাপের উপদ্রব। কয়েকদিন আগে শিশু বিজ্ঞান কেন্দ্রের লাগোয়া বাড়ির বাসিন্দা বৃদ্ধা শংকরি চক্রবর্তীকে তাঁর বাড়িতে সাপে কামড়ায়। তিন দিন হাসপাতালে ভর্তি থেকে সম্প্রতি ছাড়া পেয়েছেন তিনি। এদিন বৃদ্ধা জানিয়েছেন, বাড়িতেও ভয়ে ভয়ে থাকতে হচ্ছে। গত সপ্তাহে তাঁর বোন পুরসভাকে চিঠি দিয়ে সমস্যার কথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার বিষয়টি জানতে পেরে সুজন বাগানে যান চুঁচুড়া পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তের সিআইসি জয়দেব অধিকারী। তিনি ফোন করেন ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চন্দ্রিমা সরকার বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁকে শিশু বিজ্ঞান কেন্দ্রের সামনে ডাকেন। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।

    এদিন জয়দেব অধিকারী বলেন, শিশু বিজ্ঞান কেন্দ্রটি পুরসভা অধিগ্রহণ করেছিল। কিন্তু সেটা নিয়ম মেনে হয়নি, ভুল হয়েছিল। তাই যে ট্রাস্টের হাতে ছিল আদালত তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে। সরকারি জমিতে এই বিজ্ঞান কেন্দ্র তৈরি হয়েছিল। জেলা গ্রন্থাগারের পাশেই এই কেন্দ্র। পুরসভার সম্পত্তি নয়, তাই পুরসভা পরিষ্কার করতে পারছে না। তবে শহর পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব যেহেতু পুরসভার তাই যদি জঞ্জাল পরিষ্কার করিয়ে দেওয়া হবে।
  • Link to this news (আজকাল)